০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

নতুন যুগোপযোগী টেলিকম নীতিমালা প্রণয়নের ঘোষণা, বাতিল পুরনো নীতি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 105

ছবি সংগৃহীত

 

 

দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গ্রাহকের স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে একটি নতুন, আধুনিক ও সময়োপযোগী টেলিকম নীতিমালা প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, পূর্ববর্তী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সব টেলিকম নীতিমালা বাতিল করে একটি অংশীজন-সহায়ক, যুক্তিবাদী এবং উদার নীতিমালা তৈরি করা হবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং লাইসেন্সিং নীতি সংস্কার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব অংশগ্রহণকারীদের বিতর্ক নয়, বরং যৌক্তিক পরামর্শ দিয়ে খাতের উন্নয়নে সহযোগিতার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি মোবাইল অপারেটরদের নিজেদের মধ্যকার সমন্বয়ের মাধ্যমে সংকট নিরসনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিনিধিরা জানান, তারা প্রতিবছর প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করলেও খসড়া নীতিমালার কিছু ধারা, বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগে শর্ত আরোপ এবং নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি তাদের জন্য উদ্বেগজনক। ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীরাও নীতিমালায় বৈষম্যের অভিযোগ তোলেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান বলেন, টেলিকম নীতিমালা প্রণয়ন সরকারের এখতিয়ার হলেও তার আলোকে নির্দেশিকা তৈরি করবে বিটিআরসি। তিনি উল্লেখ করেন, দেশে এখনও প্রায় ৯ কোটি মানুষ এবং প্রায় আড়াই কোটি পরিবার ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়ে গেছে। এর পেছনে প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে তিনি ডিভাইসের অভাবকে চিহ্নিত করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আশা প্রকাশ করেন, নতুন নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে তা অন্তত আগামী ১৫ বছরের জন্য খাতটিকে একটি স্থিতিশীল কাঠামোর মধ্যে আনবে এবং বিনিয়োগে আস্থা বাড়াবে।

গোলটেবিল আলোচনায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধি, টেলিকম অপারেটর, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং প্রযুক্তি সাংবাদিকরা অংশ নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন যুগোপযোগী টেলিকম নীতিমালা প্রণয়নের ঘোষণা, বাতিল পুরনো নীতি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

আপডেট সময় ০৭:৩৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

 

দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গ্রাহকের স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে একটি নতুন, আধুনিক ও সময়োপযোগী টেলিকম নীতিমালা প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, পূর্ববর্তী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সব টেলিকম নীতিমালা বাতিল করে একটি অংশীজন-সহায়ক, যুক্তিবাদী এবং উদার নীতিমালা তৈরি করা হবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং লাইসেন্সিং নীতি সংস্কার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব অংশগ্রহণকারীদের বিতর্ক নয়, বরং যৌক্তিক পরামর্শ দিয়ে খাতের উন্নয়নে সহযোগিতার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি মোবাইল অপারেটরদের নিজেদের মধ্যকার সমন্বয়ের মাধ্যমে সংকট নিরসনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিনিধিরা জানান, তারা প্রতিবছর প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করলেও খসড়া নীতিমালার কিছু ধারা, বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগে শর্ত আরোপ এবং নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি তাদের জন্য উদ্বেগজনক। ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীরাও নীতিমালায় বৈষম্যের অভিযোগ তোলেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান বলেন, টেলিকম নীতিমালা প্রণয়ন সরকারের এখতিয়ার হলেও তার আলোকে নির্দেশিকা তৈরি করবে বিটিআরসি। তিনি উল্লেখ করেন, দেশে এখনও প্রায় ৯ কোটি মানুষ এবং প্রায় আড়াই কোটি পরিবার ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়ে গেছে। এর পেছনে প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে তিনি ডিভাইসের অভাবকে চিহ্নিত করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আশা প্রকাশ করেন, নতুন নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে তা অন্তত আগামী ১৫ বছরের জন্য খাতটিকে একটি স্থিতিশীল কাঠামোর মধ্যে আনবে এবং বিনিয়োগে আস্থা বাড়াবে।

গোলটেবিল আলোচনায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধি, টেলিকম অপারেটর, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং প্রযুক্তি সাংবাদিকরা অংশ নেন।