ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাপানের সহায়তা ও বিনিয়োগে জোর দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আহ্বান সংস্কার সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি, দ্রুত নির্বাচনের আশা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে দেশে খাদ্য মজুদ বেড়েছে: প্রেস উইং সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৪৪৩ যুক্তরাজ্যে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সন্ত্রাসী ঘোষণা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিচার ব্যবস্থাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে: জামায়াতে নায়েবে আমির তিন দফা দাবিতে উত্তাল রুয়েট নওগাঁর পোরশা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত নতুন নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক, থাকছে ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুখবর সুনামগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

বিচার ব্যবস্থাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে: জামায়াতে নায়েবে আমির

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

 

বিচার ব্যবস্থাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি ঐকমত্য তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার নবম দিনের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ডা. তাহের বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি, অতীতে চিহ্নিত অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছেন। কিন্তু ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্ষমার ক্ষেত্রে যেন কোনো দাগি অপরাধী আইনের ফাঁক গলে ছাড়া না পান, সেটি কঠোরভাবে নজরদারি করা প্রয়োজন।”

তিনি আরও জানান, অপরাধীদের ক্ষমা সুপারিশ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট কমিটি গঠনের প্রস্তাব রয়েছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মতামত নেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হবে।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “ফ্যাসিস্টদের অবস্থান অক্ষুণ্ণ রেখে বিচার ব্যবস্থায় উচ্চ আদালত বা নিম্ন আদালতে কোনো সংস্কার আনা সম্ভব নয়।”

তিনি অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগের ভেতর থেকে ফ্যাসিস্ট প্রভাব দূর করা না গেলে জনগণ কোনো সুফল ভোগ করতে পারবে না।

এছাড়া সংলাপে অংশ নেওয়া অন্যান্য নেতারাও বিচার বিভাগের কাঠামো আরও শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ করার ওপর জোর দিয়েছেন। তারা বলেছেন, জনগণের কাছে বিচার ব্যবস্থা বিশ্বাসযোগ্য করতে হলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ দূর করতে হবে এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ আইন প্রয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংলাপে প্রাপ্ত মতামতগুলো চূড়ান্ত আকারে সরকারের কাছে সুপারিশ আকারে পেশ করা হবে।

দ্বিতীয় দফার এই সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। অংশগ্রহণকারীরা আশা করছেন, এই সংলাপের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য ও টেকসই ন্যায়বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত হবে, যা জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে সহায়ক হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিচার ব্যবস্থাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে: জামায়াতে নায়েবে আমির

আপডেট সময় ০৭:৩২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

বিচার ব্যবস্থাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি ঐকমত্য তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার নবম দিনের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ডা. তাহের বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি, অতীতে চিহ্নিত অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছেন। কিন্তু ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্ষমার ক্ষেত্রে যেন কোনো দাগি অপরাধী আইনের ফাঁক গলে ছাড়া না পান, সেটি কঠোরভাবে নজরদারি করা প্রয়োজন।”

তিনি আরও জানান, অপরাধীদের ক্ষমা সুপারিশ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট কমিটি গঠনের প্রস্তাব রয়েছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মতামত নেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হবে।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “ফ্যাসিস্টদের অবস্থান অক্ষুণ্ণ রেখে বিচার ব্যবস্থায় উচ্চ আদালত বা নিম্ন আদালতে কোনো সংস্কার আনা সম্ভব নয়।”

তিনি অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগের ভেতর থেকে ফ্যাসিস্ট প্রভাব দূর করা না গেলে জনগণ কোনো সুফল ভোগ করতে পারবে না।

এছাড়া সংলাপে অংশ নেওয়া অন্যান্য নেতারাও বিচার বিভাগের কাঠামো আরও শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ করার ওপর জোর দিয়েছেন। তারা বলেছেন, জনগণের কাছে বিচার ব্যবস্থা বিশ্বাসযোগ্য করতে হলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ দূর করতে হবে এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ আইন প্রয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংলাপে প্রাপ্ত মতামতগুলো চূড়ান্ত আকারে সরকারের কাছে সুপারিশ আকারে পেশ করা হবে।

দ্বিতীয় দফার এই সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। অংশগ্রহণকারীরা আশা করছেন, এই সংলাপের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য ও টেকসই ন্যায়বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত হবে, যা জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে সহায়ক হবে।