০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

বর্তমান সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: নূরুল কবীর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 112

ছবি: সংগৃহীত

 

নিউ এজ সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি নূরুল কবীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রীসভায় যে দুজন রয়েছেন, তারা অতীতে এনসিপি ঘনিষ্ঠ নেতৃত্বের সঙ্গে আন্দোলন করেছেন, একসঙ্গে কারাবরণ করেছেন, এমনকি মৃত্যুর মুখোমুখিও হয়েছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এনসিপির প্রতি তাদের কিছুটা সহানুভূতি থাকবে, যা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, “যারা একসঙ্গে আন্দোলন করেছেন, তাঁদের মধ্যে এক ধরনের বন্ধুত্ব তৈরি হয়, সেটার একটা রাজনৈতিক মূল্য আছে।”

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ৮০-এর দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়ও বিভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে এই ধরনের বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক সহানুভূতি গড়ে উঠেছিল। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও আন্দোলনের স্মৃতি তাঁদের মধ্যে আলাদা অনুভূতির সৃষ্টি করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যেও একই রকম সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায় ১৯৭১ সালের স্মৃতিচারণের সময় তাদের মধ্যে যে অনুভূতি জাগে, তা অন্য কোনো সম্পর্কের সঙ্গে তুলনীয় নয়।

বিজ্ঞাপন

নূরুল কবীর মনে করেন, মন্ত্রিসভায় থাকা এই দুই নেতা এনসিপির প্রতি দুর্বল থাকবেন, এমনটিই স্বাভাবিক। নির্বাচনকালীন সময়েও তাদের অবস্থান একই থাকবে বলেই মনে করেন তিনি। তবে বিএনপির দিক থেকে যদি নিরপেক্ষ রাজনীতির দাবি আসে, বা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা হয়, সেক্ষেত্রে এই দুই মন্ত্রীকে নিয়ে আলোচনায় বসা এবং কেবিনেটে পরিবর্তন আনার বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে সরকারের দায়িত্বশীল অংশের কাছে নির্বাচন সংস্কারের বাইরেও যে বেশ কিছু জাতীয় সমস্যা আছে, সেগুলো নিয়েও আলোচনা করা উচিত। তিনি মনে করেন, দেশের শত শত তরুণ, শিশু, বৃদ্ধ যে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন দিয়েছেন, তারা শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তা সহজ করার জন্য আত্মত্যাগ করেননি। বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন গণতান্ত্রিক সংস্কার, এবং সেই সংস্কারের ক্ষেত্রে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিকল্পনা নিয়ে অধ্যাপক ইউনূসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা প্রয়োজন। নূরুল কবীর আশা প্রকাশ করেন, অধ্যাপক ইউনূস এ বিষয়গুলো আলোচনায় তুলবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বর্তমান সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: নূরুল কবীর

আপডেট সময় ১১:০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

নিউ এজ সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি নূরুল কবীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রীসভায় যে দুজন রয়েছেন, তারা অতীতে এনসিপি ঘনিষ্ঠ নেতৃত্বের সঙ্গে আন্দোলন করেছেন, একসঙ্গে কারাবরণ করেছেন, এমনকি মৃত্যুর মুখোমুখিও হয়েছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এনসিপির প্রতি তাদের কিছুটা সহানুভূতি থাকবে, যা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, “যারা একসঙ্গে আন্দোলন করেছেন, তাঁদের মধ্যে এক ধরনের বন্ধুত্ব তৈরি হয়, সেটার একটা রাজনৈতিক মূল্য আছে।”

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ৮০-এর দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়ও বিভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে এই ধরনের বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক সহানুভূতি গড়ে উঠেছিল। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও আন্দোলনের স্মৃতি তাঁদের মধ্যে আলাদা অনুভূতির সৃষ্টি করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যেও একই রকম সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায় ১৯৭১ সালের স্মৃতিচারণের সময় তাদের মধ্যে যে অনুভূতি জাগে, তা অন্য কোনো সম্পর্কের সঙ্গে তুলনীয় নয়।

বিজ্ঞাপন

নূরুল কবীর মনে করেন, মন্ত্রিসভায় থাকা এই দুই নেতা এনসিপির প্রতি দুর্বল থাকবেন, এমনটিই স্বাভাবিক। নির্বাচনকালীন সময়েও তাদের অবস্থান একই থাকবে বলেই মনে করেন তিনি। তবে বিএনপির দিক থেকে যদি নিরপেক্ষ রাজনীতির দাবি আসে, বা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা হয়, সেক্ষেত্রে এই দুই মন্ত্রীকে নিয়ে আলোচনায় বসা এবং কেবিনেটে পরিবর্তন আনার বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে সরকারের দায়িত্বশীল অংশের কাছে নির্বাচন সংস্কারের বাইরেও যে বেশ কিছু জাতীয় সমস্যা আছে, সেগুলো নিয়েও আলোচনা করা উচিত। তিনি মনে করেন, দেশের শত শত তরুণ, শিশু, বৃদ্ধ যে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন দিয়েছেন, তারা শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তা সহজ করার জন্য আত্মত্যাগ করেননি। বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন গণতান্ত্রিক সংস্কার, এবং সেই সংস্কারের ক্ষেত্রে বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিকল্পনা নিয়ে অধ্যাপক ইউনূসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা প্রয়োজন। নূরুল কবীর আশা প্রকাশ করেন, অধ্যাপক ইউনূস এ বিষয়গুলো আলোচনায় তুলবেন।