ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

বাজেটে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন নেই: ফরহাদ মজহার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / 0

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় বাজেট ২০২৫ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, “এই বাজেট আমাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। আমরা যে উদ্দীপনা বা স্পিরিট আশা করেছিলাম, সেটার কোনো প্রতিফলন বাজেটে নেই।”

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ আয়োজিত ‘বাজেট সংলাপ ২০২৫’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

বাজেট প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত থ্রি-জিরো তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফরহাদ মজহার বলেন, “এই তত্ত্ব বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে বাজেটে। কিন্তু আমরা তো এ ধরনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য গণঅভ্যুত্থান করিনি। আমরা চেয়েছিলাম ভিন্নধর্মী একটি বাজেট, যেখানে লুটপাটতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করা হবে। থ্রি-জিরো কারও ব্যক্তিগত স্বপ্ন হতে পারে, আমরা সেটা শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তা বাজেটের অংশ হতে পারে না। আন্তর্জাতিকভাবে এর খ্যাতি থাকলেও, বাংলাদেশে এর বাস্তবতা ভিন্ন। তাই এ বিষয়ে আলোচনা করবার অধিকার আমাদের রয়েছে।”

তিনি বলেন, “এই সরকার নির্বাচিত হলেও এটি অন্তর্বর্তীকালীন। জনগণই তাদের এই ম্যান্ডেট দিয়েছে, তাই আমাদের প্রত্যাশাও বেশি। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণের লক্ষণ বাজেটে নেই।”

কালো টাকা সাদা করার বিধান নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পরেও যদি কালো টাকা বৈধ হয়, তাহলে লুটপাটতন্ত্রকে বৈধতা দেওয়া হয়। এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়। কোনো যুক্তিতেই গণআন্দোলনের পর কালো টাকা সাদা হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত নয়।”

সেনাবাহিনীর খরচের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, “আমাদের পাশেই মিয়ানমার ও ভারত। এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে হলে একটি শক্তিশালী জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সেটির জন্য বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ থাকা জরুরি। কোথায় খরচ হচ্ছে, তা গোপন রাখার প্রবণতা বাজেটের দুর্বলতা।”

শেষে তিনি বলেন, “৮ আগস্ট যে সরকার গঠিত হলো, তা মূলত লুটপাটতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার অংশ। এ সরকারের নিজস্ব ক্ষমতা নেই বললেই চলে। এখনো তারা টিকে আছে, সেটাই অনেক বড় বিষয়।”

এই বক্তব্যে ফরহাদ মজহার স্পষ্ট করেছেন, তিনি একটি গণমুখী, স্বচ্ছ এবং লুটপাটমুক্ত বাজেট চান—যেখানে জনগণের প্রকৃত চাহিদা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সমান গুরুত্ব পাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাজেটে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন নেই: ফরহাদ মজহার

আপডেট সময় ০৮:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

 

জাতীয় বাজেট ২০২৫ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, “এই বাজেট আমাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। আমরা যে উদ্দীপনা বা স্পিরিট আশা করেছিলাম, সেটার কোনো প্রতিফলন বাজেটে নেই।”

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ আয়োজিত ‘বাজেট সংলাপ ২০২৫’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

বাজেট প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত থ্রি-জিরো তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফরহাদ মজহার বলেন, “এই তত্ত্ব বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে বাজেটে। কিন্তু আমরা তো এ ধরনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য গণঅভ্যুত্থান করিনি। আমরা চেয়েছিলাম ভিন্নধর্মী একটি বাজেট, যেখানে লুটপাটতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করা হবে। থ্রি-জিরো কারও ব্যক্তিগত স্বপ্ন হতে পারে, আমরা সেটা শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তা বাজেটের অংশ হতে পারে না। আন্তর্জাতিকভাবে এর খ্যাতি থাকলেও, বাংলাদেশে এর বাস্তবতা ভিন্ন। তাই এ বিষয়ে আলোচনা করবার অধিকার আমাদের রয়েছে।”

তিনি বলেন, “এই সরকার নির্বাচিত হলেও এটি অন্তর্বর্তীকালীন। জনগণই তাদের এই ম্যান্ডেট দিয়েছে, তাই আমাদের প্রত্যাশাও বেশি। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণের লক্ষণ বাজেটে নেই।”

কালো টাকা সাদা করার বিধান নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পরেও যদি কালো টাকা বৈধ হয়, তাহলে লুটপাটতন্ত্রকে বৈধতা দেওয়া হয়। এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়। কোনো যুক্তিতেই গণআন্দোলনের পর কালো টাকা সাদা হওয়ার সুযোগ থাকা উচিত নয়।”

সেনাবাহিনীর খরচের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, “আমাদের পাশেই মিয়ানমার ও ভারত। এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে হলে একটি শক্তিশালী জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সেটির জন্য বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ থাকা জরুরি। কোথায় খরচ হচ্ছে, তা গোপন রাখার প্রবণতা বাজেটের দুর্বলতা।”

শেষে তিনি বলেন, “৮ আগস্ট যে সরকার গঠিত হলো, তা মূলত লুটপাটতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার অংশ। এ সরকারের নিজস্ব ক্ষমতা নেই বললেই চলে। এখনো তারা টিকে আছে, সেটাই অনেক বড় বিষয়।”

এই বক্তব্যে ফরহাদ মজহার স্পষ্ট করেছেন, তিনি একটি গণমুখী, স্বচ্ছ এবং লুটপাটমুক্ত বাজেট চান—যেখানে জনগণের প্রকৃত চাহিদা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সমান গুরুত্ব পাবে।