শীর্ষ সাংবিধানিক ইস্যুতে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু আজ

- আপডেট সময় ০৯:৫৭:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
- / 8
রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হচ্ছে আজ সোমবার। বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শুরু করবেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
কমিশন সূত্র জানায়, এই দফায় আলোচনা হবে মূলত বিষয়ভিত্তিক। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর সংবিধান সংস্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হবে পর্যায়ক্রমে। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে এক দিন এবং ঈদের পরে ধারাবাহিকভাবে এসব আলোচনা চলবে।
বিশেষভাবে যেসব সাংবিধানিক সংস্কার প্রস্তাবে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি, সেগুলোই এই দফায় গুরুত্ব পাবে। এর মধ্যে রয়েছে—বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগ প্রক্রিয়া, মেয়াদ নির্ধারণ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন, একই ব্যক্তির একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া, সংসদ সদস্যদের পদধারণ সীমা, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি ও সংবিধান সংশোধনের পন্থা ইত্যাদি মৌলিক কাঠামোগত প্রশ্ন।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাঁর উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, দ্বিতীয় দফার আলোচনায় অংশ নিতে সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অক্টোবরে অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত হয় সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কার কমিশন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসব কমিশন পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় সংস্কার-প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে।
গত ২৬ মে প্রথম দফার আলোচনা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, ক্ষমতার ভারসাম্যসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখনো মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে বেশ কয়েকটি দল আলোচনায় নমনীয়তা দেখিয়েছে এবং আরও আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানায় কমিশন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য, চলমান আলোচনা শেষে আগামী জুলাই মাসে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চূড়ান্ত দলিল ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন করা।