১১:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

শীর্ষ আদালতের নির্দেশে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০০:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 74

ছবি সংগৃহীত

 

 

নিবন্ধন বাতিল হওয়া ইসলামি রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর দলীয় নিবন্ধন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। এতে হাইকোর্টের পূর্বের রায় বাতিল করে জামায়াতের পক্ষে রায় দেন আপিল বিভাগ।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন ও ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান তার ফেসবুক পেজে “আলহামদুলিল্লাহ” লিখে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

শুনানির সময় নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী আদালতকে জানান, জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে তারা আপিল বিভাগের রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে জামায়াতের পুরোনো প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে দলটি পুনরায় নিবন্ধন পেলে নতুন প্রতীক বেছে নিতে হতে পারে।

তবে জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা বলছেন, ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক ব্যবহারে কোনো আইনি নিষেধাজ্ঞা নেই, কারণ এটি আদালতের কোনো রায়ে নিষিদ্ধ হয়নি। তাদের দাবি অনুযায়ী, পুরোনো প্রতীক ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে দলটির কোনো আইনগত বাধা থাকার কথা নয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট একটি রিট আবেদনের নিষ্পত্তিতে হাইকোর্ট জামায়াতের দলীয় নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে।

সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পথে বড় ধরনের আইনি স্বীকৃতি পেল। এখন দেখার বিষয়—নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পর দলটি কীভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ কার্যক্রম কীভাবে এগোয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীর্ষ আদালতের নির্দেশে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ

আপডেট সময় ১১:০০:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

 

 

নিবন্ধন বাতিল হওয়া ইসলামি রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর দলীয় নিবন্ধন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। এতে হাইকোর্টের পূর্বের রায় বাতিল করে জামায়াতের পক্ষে রায় দেন আপিল বিভাগ।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন ও ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান তার ফেসবুক পেজে “আলহামদুলিল্লাহ” লিখে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

শুনানির সময় নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী আদালতকে জানান, জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে তারা আপিল বিভাগের রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে জামায়াতের পুরোনো প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে দলটি পুনরায় নিবন্ধন পেলে নতুন প্রতীক বেছে নিতে হতে পারে।

তবে জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা বলছেন, ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক ব্যবহারে কোনো আইনি নিষেধাজ্ঞা নেই, কারণ এটি আদালতের কোনো রায়ে নিষিদ্ধ হয়নি। তাদের দাবি অনুযায়ী, পুরোনো প্রতীক ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে দলটির কোনো আইনগত বাধা থাকার কথা নয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট একটি রিট আবেদনের নিষ্পত্তিতে হাইকোর্ট জামায়াতের দলীয় নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে।

সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পথে বড় ধরনের আইনি স্বীকৃতি পেল। এখন দেখার বিষয়—নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পর দলটি কীভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ কার্যক্রম কীভাবে এগোয়।