তারুণ্যের মহাসমাবেশে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে কঠোর বার্তা বিএনপির

- আপডেট সময় ১১:১৩:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
- / 10
বিএনপির উদ্যোগে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক মহাসমাবেশে দলটি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জোর দাবি জানিয়েছে। বুধবার (২৮ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এই সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে জনস্রোতে পরিণত হয় এলাকা।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা কারও পদত্যাগ চাইনি, চেয়েছিলাম একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ। কিন্তু তারা নাটক করেছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা অবাধ নির্বাচন চাই।”
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, “নয়াপল্টন আজ তারুণ্যের জোয়ারে প্লাবিত। আমাদের আন্দোলনের প্রথম ধাপে আমরা বিজয় অর্জন করেছি, এখন দ্বিতীয় ধাপে। অবিলম্বে নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ দিতে হবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকেই ক্ষমতা নিতে হবে।”
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “গণতন্ত্রে রোডম্যাপ ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। জনগণের অনুমতি ছাড়া আপনারা সংস্কার করতে পারেন না। এই সংস্কার হবে জনগণের মাধ্যমে, নির্বাচনের মাধ্যমে।”
বিএনপির আরেক নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, “এই সরকার আস্থার সরকার ছিল, কিন্তু তা হারিয়েছে। নয় মাসেও সংস্কার করতে পারেনি তারা। এখন জনগণের চোখে তারা প্রশ্নবিদ্ধ। চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে হবে।”
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দ্রুত ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে, কিন্তু দশ মাসেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টা চলছে, তবে জনগণ তা প্রতিহত করবে।”
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “দেশের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। একমাত্র তরুণরাই পারে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে। নেতাকর্মীদের পাড়ায় মহল্লায় নির্বাচনী দাবিতে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানান তিনি।”
সমাবেশের শেষ অংশে ভিডিও বার্তায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, “তিন মাসে নির্বাচন সম্ভব হলেও ১০ মাস পরেও সরকার তা দেয়নি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সময়ক্ষেপণ করছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।”
তারেক রহমান তরুণদের উদ্দেশে বলেন, “জনগণের প্রতিনিধি হতে হলে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। জনগণের মন জয় করতে হবে।”
এই মহাসমাবেশে বিএনপি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যদি নির্বাচন পিছিয়ে যায়, তার দায় সরকারেরই নিতে হবে।