ঢাকা ০৬:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়ে মুক্তি পেলেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • / 14

ছবি: সংগৃহীত

 

দীর্ঘ নয় বছরের কারাবাস শেষে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম কারামুক্ত হয়েছেন। বুধবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) থেকে মুক্তি পান, যেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এর আগে, মঙ্গলবার সকালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারুল ইসলামকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। বিকেলে তার মুক্তির আদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে তিন পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রায় দেন। এতে বলা হয়, যদি অন্য কোনো মামলা বা আইনগত কারণে আটক রাখার প্রয়োজন না থাকে, তবে আজহারুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

রায়ে আরও বলা হয়, মামলার পুনর্মূল্যায়নে দেখা গেছে যে, তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার মৌলিক নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে। এতে ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে। পূর্ববর্তী রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগগুলোর প্রমাণ যথাযথভাবে মূল্যায়িত হয়নি বলেও মন্তব্য করেন আদালত। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে তার দণ্ড বহাল রাখা যায় না।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি তিনি আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

পরে আজহারুল ইসলাম রিভিউ আবেদন করলে, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ তা গ্রহণ করে এবং পুনরায় আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত দেয়। এটি ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত প্রথম মামলা, যা রিভিউ শেষে পুনরায় আপিল শুনানির সুযোগ পেয়েছে।

এই ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে প্রায় এক দশক ধরে চলা আইনি প্রক্রিয়ার অবসান ঘটল। জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি দেশের রাজনৈতিক ও বিচারাঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়ে মুক্তি পেলেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম

আপডেট সময় ১১:০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

 

দীর্ঘ নয় বছরের কারাবাস শেষে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম কারামুক্ত হয়েছেন। বুধবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) থেকে মুক্তি পান, যেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এর আগে, মঙ্গলবার সকালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারুল ইসলামকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। বিকেলে তার মুক্তির আদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে তিন পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রায় দেন। এতে বলা হয়, যদি অন্য কোনো মামলা বা আইনগত কারণে আটক রাখার প্রয়োজন না থাকে, তবে আজহারুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

রায়ে আরও বলা হয়, মামলার পুনর্মূল্যায়নে দেখা গেছে যে, তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার মৌলিক নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে। এতে ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে। পূর্ববর্তী রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগগুলোর প্রমাণ যথাযথভাবে মূল্যায়িত হয়নি বলেও মন্তব্য করেন আদালত। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে তার দণ্ড বহাল রাখা যায় না।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি তিনি আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

পরে আজহারুল ইসলাম রিভিউ আবেদন করলে, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ তা গ্রহণ করে এবং পুনরায় আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত দেয়। এটি ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত প্রথম মামলা, যা রিভিউ শেষে পুনরায় আপিল শুনানির সুযোগ পেয়েছে।

এই ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে প্রায় এক দশক ধরে চলা আইনি প্রক্রিয়ার অবসান ঘটল। জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি দেশের রাজনৈতিক ও বিচারাঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।