ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২০২৫ সালে শিল্পের সঙ্গে শিল্পোউদ্যোক্তাদেরও মেরে ফেলা হচ্ছে: বিটিএমএ সভাপতি গঠনমূলক সমালোচনার ওপর জোর দিলেন তারেক রহমান, প্রত্যাশা অবাধ নির্বাচনের আজ বিশ্ব থাইরয়েড দিবস: দ্রুত শনাক্ত করুন, সুস্থ থাকুন ঈদের ছুটিতেও সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখতে নতুন নির্দেশনা বিএনপি রাজপথে নামলে এই সরকার টিকবে না: গয়েশ্বর বন্দরে অচলাবস্থা: কলম বিরতিতে থেমে গেছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথমবারের মতো পুরস্কার জয় করল বাংলাদেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আলী’ আলোচনার আশ্বাসে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট প্রত্যাহার বাড়ানো হয়েছে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের সাথে নৌবাহিনীতে যোগ দিল ৪৬৩ তরুণ নাবিক

রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণে ৩৩ শতাংশ কোটা চাইলেন সমাজবিজ্ঞানী সামিনা লুৎফা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ আরও দৃঢ় করতে আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রার্থী মনোনয়নে কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ নারী অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা।

রোববার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক আলোচনা সভায় এই দাবি জানান তিনি।

সামিনা লুৎফা বলেন, “নারীরা এখন একটি অসাধারণ সময় অতিক্রম করছেন। আগে তাঁরা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখলেও পরে ঘরোয়া দায়িত্বে ফিরে যেতেন। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, তরুণ নারীরা রাজনীতিতে প্রবেশে আগ্রহী। এই বার্তাটি রাজনৈতিক দলগুলোকে স্পষ্টভাবে দিতে হবে। তাঁদের সুযোগ করে দিতে হবে।”

তিনি জানান, নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী নিশ্চিত করা জরুরি। একইসঙ্গে দলীয় কাঠামোর ভেতরেও নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন নিয়ে আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর তর্ক-বিতর্ক চলেছে। তবে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং এই আলোচনা অব্যাহত রাখা দরকার।”

আলোচনায় তিনি আরও বলেন, বারবার রাজনীতিতে স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা ফিরে আসে। একে প্রতিহত করতে ‘চেক অ্যান্ড ব্যালান্স’ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা আবশ্যক। এ বিষয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সামিনা লুৎফা বলেন, “ভিন্নমত থাকতেই পারে, তবে নাগরিক হিসেবে আমি চাই, মৌলিক অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে সবাই যেন একমত হন। কোনো রাজনৈতিক দল যদি দ্বিমত পোষণ করে, ঐকমত্য কমিশনের উচিত তাদের বোঝানো।”

আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ইফতেখারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এই সভায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ রাজনৈতিক সংস্কার, অংশগ্রহণ ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত উপস্থাপন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণে ৩৩ শতাংশ কোটা চাইলেন সমাজবিজ্ঞানী সামিনা লুৎফা

আপডেট সময় ০২:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 

রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ আরও দৃঢ় করতে আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রার্থী মনোনয়নে কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ নারী অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা।

রোববার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক আলোচনা সভায় এই দাবি জানান তিনি।

সামিনা লুৎফা বলেন, “নারীরা এখন একটি অসাধারণ সময় অতিক্রম করছেন। আগে তাঁরা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখলেও পরে ঘরোয়া দায়িত্বে ফিরে যেতেন। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, তরুণ নারীরা রাজনীতিতে প্রবেশে আগ্রহী। এই বার্তাটি রাজনৈতিক দলগুলোকে স্পষ্টভাবে দিতে হবে। তাঁদের সুযোগ করে দিতে হবে।”

তিনি জানান, নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী নিশ্চিত করা জরুরি। একইসঙ্গে দলীয় কাঠামোর ভেতরেও নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন নিয়ে আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর তর্ক-বিতর্ক চলেছে। তবে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং এই আলোচনা অব্যাহত রাখা দরকার।”

আলোচনায় তিনি আরও বলেন, বারবার রাজনীতিতে স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা ফিরে আসে। একে প্রতিহত করতে ‘চেক অ্যান্ড ব্যালান্স’ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা আবশ্যক। এ বিষয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সামিনা লুৎফা বলেন, “ভিন্নমত থাকতেই পারে, তবে নাগরিক হিসেবে আমি চাই, মৌলিক অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে সবাই যেন একমত হন। কোনো রাজনৈতিক দল যদি দ্বিমত পোষণ করে, ঐকমত্য কমিশনের উচিত তাদের বোঝানো।”

আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ইফতেখারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এই সভায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ রাজনৈতিক সংস্কার, অংশগ্রহণ ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত উপস্থাপন করেন।