ঢাকা ০১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

 

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে রাজধানীর গুলিস্তানে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেন নেতাকর্মীরা। তারা অভিযোগ করেন, আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের পরও নানা টালবাহানায় ইশরাক হোসেনকে এখনো মেয়র পদে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হচ্ছে না।

বিক্ষোভের কারণে গুলিস্তান মাজার থেকে বঙ্গবাজারমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে আশপাশের এলাকায় দেখা দেয় তীব্র যানজট।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক নেতা বলেন, “আদালতের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ইশরাক হোসেন বৈধভাবে নির্বাচিত মেয়র। কিন্তু এখনো তাকে শপথ না করিয়ে বেআইনিভাবে দায়িত্ব আটকে রাখা হয়েছে। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকব।”

এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে হাজারো মানুষ নগরভবনের সামনে মানববন্ধন করেন। পরে সমর্থকদের উপস্থিতি বাড়লে তা রূপ নেয় বিক্ষোভে। সেখান থেকেই ঘোষণা আসে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকার দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে প্রায় পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।

তবে চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এক রায়ে ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল ইশরাককে মেয়র হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে।

ইসির গেজেট প্রকাশের পর শপথ গ্রহণ ও দায়িত্ব হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছেন ইশরাক হোসেন। তবে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ না পাওয়ায় এখনও পর্যন্ত শপথের আয়োজন করা হয়নি বলে জানা গেছে।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও শপথে দেরি করার অর্থই হলো জনগণের রায়ের অবমাননা। তাই এই অবস্থান কর্মসূচি চলতেই থাকবে যতদিন না ইশরাক দায়িত্ব পান।

নিউজটি শেয়ার করুন

মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি

আপডেট সময় ০১:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

 

 

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে রাজধানীর গুলিস্তানে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেন নেতাকর্মীরা। তারা অভিযোগ করেন, আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের পরও নানা টালবাহানায় ইশরাক হোসেনকে এখনো মেয়র পদে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হচ্ছে না।

বিক্ষোভের কারণে গুলিস্তান মাজার থেকে বঙ্গবাজারমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে আশপাশের এলাকায় দেখা দেয় তীব্র যানজট।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক নেতা বলেন, “আদালতের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ইশরাক হোসেন বৈধভাবে নির্বাচিত মেয়র। কিন্তু এখনো তাকে শপথ না করিয়ে বেআইনিভাবে দায়িত্ব আটকে রাখা হয়েছে। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকব।”

এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে হাজারো মানুষ নগরভবনের সামনে মানববন্ধন করেন। পরে সমর্থকদের উপস্থিতি বাড়লে তা রূপ নেয় বিক্ষোভে। সেখান থেকেই ঘোষণা আসে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকার দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে প্রায় পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।

তবে চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এক রায়ে ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল ইশরাককে মেয়র হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে।

ইসির গেজেট প্রকাশের পর শপথ গ্রহণ ও দায়িত্ব হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছেন ইশরাক হোসেন। তবে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ না পাওয়ায় এখনও পর্যন্ত শপথের আয়োজন করা হয়নি বলে জানা গেছে।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরও শপথে দেরি করার অর্থই হলো জনগণের রায়ের অবমাননা। তাই এই অবস্থান কর্মসূচি চলতেই থাকবে যতদিন না ইশরাক দায়িত্ব পান।