ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জনগণের ন্যায্য দাবিতে সরকারের ‘মান-অভিমান’ চলবে না: তারেক রহমান দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হলো সাবেক মেয়র আইভীকে ঈদের তারিখ জানতে ২৭ মে চাঁদ দেখার আহ্বান জানাল সৌদি আরব ইউক্রেন যুদ্ধের ড্রোন কৌশল থেকে শিক্ষা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র – ট্রাম্প ২০২৫ সালে শিল্পের সঙ্গে শিল্পোউদ্যোক্তাদেরও মেরে ফেলা হচ্ছে: বিটিএমএ সভাপতি গঠনমূলক সমালোচনার ওপর জোর দিলেন তারেক রহমান, প্রত্যাশা অবাধ নির্বাচনের আজ বিশ্ব থাইরয়েড দিবস: দ্রুত শনাক্ত করুন, সুস্থ থাকুন ঈদের ছুটিতেও সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখতে নতুন নির্দেশনা বিএনপি রাজপথে নামলে এই সরকার টিকবে না: গয়েশ্বর বন্দরে অচলাবস্থা: কলম বিরতিতে থেমে গেছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের কার্যক্রম

গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের ৩ দফা দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত নেতাকর্মীরা তিন দফা দাবিতে রোববার (১১ মে) সকাল থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। তারা দাবি করছেন আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা, ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন, এবং উন্নত চিকিৎসা সেবার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

সকাল থেকেই শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আহত আন্দোলনকারীরা। সড়কের পাশে স্থাপন করা হয়েছে ‘জুলাই মঞ্চ’। তারা বলেন, কোনো রাজনৈতিক ব্যানারের ছায়ায় জুলাই আন্দোলন হারিয়ে যেতে দেয়া হবে না।

আহতদের ভাষ্য, “আমরা যারা রক্ত দিয়েছি, বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের পুনর্বাসনের প্রশ্নই ওঠে না। এটা শুধুই রাজনৈতিক নাটক নয়, জনতার রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।”

আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, আওয়ামী লীগকে ভারতের ‘রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দ্রুত আইন প্রয়োগ করে দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

তারা বলেন, “সাম্প্রতিক নাটকীয় নিষিদ্ধ ঘোষণার বক্তব্য নয়, আমরা চাই কার্যকর পদক্ষেপ। আইন প্রয়োগ করে এই দলে রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা চাই। পাশাপাশি আমাদের চিকিৎসা নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে।”

আন্দোলনকারীরা আরও জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়িত না হবে, ততক্ষণ তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

শনিবার (১০ মে) রাতে একটি সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “আজ উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞা সাইবার স্পেসেও কার্যকর থাকবে।”

তিনি আরও জানান, “জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

জুলাই আন্দোলনের আহতরা এখন শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের ৩ দফা দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড

আপডেট সময় ১২:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত নেতাকর্মীরা তিন দফা দাবিতে রোববার (১১ মে) সকাল থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। তারা দাবি করছেন আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা, ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন, এবং উন্নত চিকিৎসা সেবার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

সকাল থেকেই শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আহত আন্দোলনকারীরা। সড়কের পাশে স্থাপন করা হয়েছে ‘জুলাই মঞ্চ’। তারা বলেন, কোনো রাজনৈতিক ব্যানারের ছায়ায় জুলাই আন্দোলন হারিয়ে যেতে দেয়া হবে না।

আহতদের ভাষ্য, “আমরা যারা রক্ত দিয়েছি, বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের পুনর্বাসনের প্রশ্নই ওঠে না। এটা শুধুই রাজনৈতিক নাটক নয়, জনতার রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।”

আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, আওয়ামী লীগকে ভারতের ‘রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দ্রুত আইন প্রয়োগ করে দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

তারা বলেন, “সাম্প্রতিক নাটকীয় নিষিদ্ধ ঘোষণার বক্তব্য নয়, আমরা চাই কার্যকর পদক্ষেপ। আইন প্রয়োগ করে এই দলে রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা চাই। পাশাপাশি আমাদের চিকিৎসা নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে।”

আন্দোলনকারীরা আরও জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়িত না হবে, ততক্ষণ তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

শনিবার (১০ মে) রাতে একটি সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “আজ উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞা সাইবার স্পেসেও কার্যকর থাকবে।”

তিনি আরও জানান, “জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

জুলাই আন্দোলনের আহতরা এখন শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে।