প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে এনসিপি-বিএনপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

- আপডেট সময় ০৭:৪৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
- / 29
নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বাড়ছে। প্রশাসন নিয়ে এবার একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বিএনপি।
এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসন এখন বিএনপি-ঘেঁষা আচরণ করছে। তার দাবি, এই ধরনের প্রশাসনের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। বুধবার ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলামের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “এই বক্তব্যের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রশাসনের সঙ্গে বরং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তারা বিভিন্ন দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।” তিনি নাহিদ ইসলামের মন্তব্যকে ‘রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর’ বলেও আখ্যায়িত করেন।
এনসিপির অভিমত, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রশাসনের মধ্যে বিএনপির সহানুভূতিশীলরা প্রবেশ করেছে। ফলে রাষ্ট্রীয় নানা প্রতিষ্ঠানে এখন বিএনপির প্রভাব প্রতিফলিত হচ্ছে। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, “আমলারা সবসময় যেই দলকে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বেশি মনে করে, তাদের দিকেই ঝুঁকে পড়ে। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলেও এখন প্রশাসন বিএনপির সম্ভাব্য ক্ষমতা প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেখেই হয়তো কিছুটা নমনীয় হয়েছে।”
নাহিদ ইসলাম আবারও জোর দিয়ে বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি—যদি প্রশাসন, পুলিশ ও আমলাতন্ত্রে কোনো পরিবর্তন না আসে, তবে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। চাঁদাবাজি, পক্ষপাতমূলক আচরণ—এসব কিছুই প্রমাণ করে প্রশাসন এখন নিরপেক্ষ নয়।”
তিনি ইঙ্গিত দেন, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে জাতীয় নাগরিক পার্টি ভবিষ্যৎ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করবে।
রাজনীতির ময়দানে যখন নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ছে, তখন প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এমন বিতর্ক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।