০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ  

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 58

ছবি সংগৃহীত

 

লন্ডনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের বাসভবনে গিয়ে এই সাক্ষাৎ করেন।

ঘটনাটি সামনে আসে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বেগম জিয়ার সাবেক প্রেসসচিব, প্রবীণ সাংবাদিক ও লেখক মারুফ কামাল খানের একটি ফেসবুক পোস্টে। সেখানে তিনি জানান, ইউরোপ সফর শেষে জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতা লন্ডন গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এর কিছুদিন পরই দেশে ফিরে আসেন।

বিজ্ঞাপন

মারুফ কামাল উল্লেখ করেন, দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই সাক্ষাতে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে বেগম জিয়া তারেক রহমানের বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তবে এই আলোচিত সাক্ষাতে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সাক্ষাৎ হয়তো ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে, আবার এটিকে নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। সবকিছু নির্ভর করছে আগামী দিনগুলোর গতিপ্রকৃতির ওপর।

এর আগেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যক্তিত্ব বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানা যায়। মারুফ কামাল তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার আগে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সস্ত্রীক খালেদা জিয়ার ঢাকার বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। সেই সাক্ষাৎ সম্পর্কেও তেমন কিছু প্রকাশ্যে আসেনি।

রাজনীতির আড়ালে এই ধরনের সাক্ষাৎ ও নীরব আলোচনা কি শুধুই ব্যক্তিগত সৌজন্য, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে বড় কোনো কৌশলগত অঙ্ক তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে রাজনীতির পরবর্তী ধাপের জন্য। তবে এমন সময়ে জামায়াত ও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সরাসরি সাক্ষাৎ রাজনৈতিক মহলে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে, যা নতুন কোনো সমীকরণের ইঙ্গিত হিসেবেও ধরা হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ  

আপডেট সময় ১১:৪৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

 

লন্ডনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের বাসভবনে গিয়ে এই সাক্ষাৎ করেন।

ঘটনাটি সামনে আসে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বেগম জিয়ার সাবেক প্রেসসচিব, প্রবীণ সাংবাদিক ও লেখক মারুফ কামাল খানের একটি ফেসবুক পোস্টে। সেখানে তিনি জানান, ইউরোপ সফর শেষে জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতা লন্ডন গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এর কিছুদিন পরই দেশে ফিরে আসেন।

বিজ্ঞাপন

মারুফ কামাল উল্লেখ করেন, দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই সাক্ষাতে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে বেগম জিয়া তারেক রহমানের বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তবে এই আলোচিত সাক্ষাতে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সাক্ষাৎ হয়তো ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে, আবার এটিকে নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। সবকিছু নির্ভর করছে আগামী দিনগুলোর গতিপ্রকৃতির ওপর।

এর আগেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যক্তিত্ব বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানা যায়। মারুফ কামাল তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার আগে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সস্ত্রীক খালেদা জিয়ার ঢাকার বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। সেই সাক্ষাৎ সম্পর্কেও তেমন কিছু প্রকাশ্যে আসেনি।

রাজনীতির আড়ালে এই ধরনের সাক্ষাৎ ও নীরব আলোচনা কি শুধুই ব্যক্তিগত সৌজন্য, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে বড় কোনো কৌশলগত অঙ্ক তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে রাজনীতির পরবর্তী ধাপের জন্য। তবে এমন সময়ে জামায়াত ও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সরাসরি সাক্ষাৎ রাজনৈতিক মহলে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে, যা নতুন কোনো সমীকরণের ইঙ্গিত হিসেবেও ধরা হতে পারে।