বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহনশীলতা আর কোথাও নেই — স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ১১:১৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
- / 52
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ঐতিহাসিক লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমী স্নানোৎসবকে ঘিরে লাখো পুণ্যার্থীর সমাগমে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। পাপমোচনের আশায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এ স্নানে অংশ নেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় স্নানোৎসব পরিদর্শনে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এমন দৃষ্টান্ত আর কোথাও নেই। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই এখানে মিলেমিশে বসবাস করছে, একসঙ্গে কাজ করছে। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিনি আরও বলেন, “এবারের উৎসবে গত বছরের তুলনায় পুণ্যার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। এখানে এসে মানুষ আত্মিকভাবে পবিত্রতা অর্জন করে। সবাই যেন পবিত্রতা ও মানবিকতা ধরে রাখতে পারেন, সেই কামনা করি।”
স্নানোৎসব নির্বিঘ্ন করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীরা একযোগে কাজ করছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এখানে কোনো ভেদাভেদ নেই, সবাই বাংলাদেশি পরিচয়ে একত্রিত হয়েছে।”
দেশের নিরাপত্তা ও গুজব নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, “কিছু ইউটিউব চ্যানেল ও বিদেশি মিডিয়া উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুয়া সংবাদ ছড়ায়। তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হলে সত্য সংবাদ তুলে ধরতে হবে। সত্য তুলে ধরায় আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আওলাদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
স্নানের লগ্ন শুরু হয় শুক্রবার রাত ২টা ৮ মিনিটে এবং চলবে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত। পুণ্যার্থীদের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় স্নান নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, লাঙ্গলবন্দকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ভাবনা রয়েছে, তবে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য অক্ষুণ্ন রাখাই হবে প্রধান লক্ষ্য।