ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ের উপর ভিত্তি করে সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি: প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 31

ছবি সংগৃহীত

 

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে এসেও একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ, যেখানে থাকবে আইনের শাসন, মানবিক মর্যাদা এবং ন্যায়বিচার। কিন্তু আজও সে সমাজ আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।”

ড. ইউনূস বলেন, “দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতি, লুটপাট, গুম ও খুনের ভয়াবহ চক্রে এক ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের আত্মত্যাগ আমাদের ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ আমরা কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে পারি না।”

পুরস্কার প্রাপ্তদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “মরণোত্তর পুরস্কারের চেয়ে জীবিত অবস্থায় সম্মান পাওয়ার আনন্দই আলাদা। একজন মানুষ জীবদ্দশায় স্বীকৃতি পেলে সেটা কেবল তাঁর নয়, বরং তাঁর পরিবার ও জাতির জন্যও গৌরবের বিষয়।”

তিনি প্রস্তাব দেন, “আমরা যেন ভবিষ্যতে এমন একটি রীতি চালু করতে পারি, যেখানে মরণোত্তর পুরস্কার নয়, জীবিত অবস্থাতেই কৃতিত্বের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যারা আমাদের গৌরব, তাদের সম্মান জানানোর জন্য আমাদের এগিয়ে আসতেই হবে।”

তিনি আরও বলেন, “পুরস্কার প্রদান শুধু ব্যক্তিগত সম্মান নয়, এটি জাতির সম্মান। যাঁদের আজ আমরা স্মরণ করছি, তাঁরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। জীবিত অবস্থায় তাদের অবদানকে স্বীকৃতি না দিলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হবো।”

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ের উপর ভিত্তি করে সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০২:০১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে এসেও একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ, যেখানে থাকবে আইনের শাসন, মানবিক মর্যাদা এবং ন্যায়বিচার। কিন্তু আজও সে সমাজ আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।”

ড. ইউনূস বলেন, “দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতি, লুটপাট, গুম ও খুনের ভয়াবহ চক্রে এক ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের আত্মত্যাগ আমাদের ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ আমরা কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে পারি না।”

পুরস্কার প্রাপ্তদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “মরণোত্তর পুরস্কারের চেয়ে জীবিত অবস্থায় সম্মান পাওয়ার আনন্দই আলাদা। একজন মানুষ জীবদ্দশায় স্বীকৃতি পেলে সেটা কেবল তাঁর নয়, বরং তাঁর পরিবার ও জাতির জন্যও গৌরবের বিষয়।”

তিনি প্রস্তাব দেন, “আমরা যেন ভবিষ্যতে এমন একটি রীতি চালু করতে পারি, যেখানে মরণোত্তর পুরস্কার নয়, জীবিত অবস্থাতেই কৃতিত্বের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যারা আমাদের গৌরব, তাদের সম্মান জানানোর জন্য আমাদের এগিয়ে আসতেই হবে।”

তিনি আরও বলেন, “পুরস্কার প্রদান শুধু ব্যক্তিগত সম্মান নয়, এটি জাতির সম্মান। যাঁদের আজ আমরা স্মরণ করছি, তাঁরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। জীবিত অবস্থায় তাদের অবদানকে স্বীকৃতি না দিলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হবো।”

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।