০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ের উপর ভিত্তি করে সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি: প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 88

ছবি সংগৃহীত

 

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে এসেও একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ, যেখানে থাকবে আইনের শাসন, মানবিক মর্যাদা এবং ন্যায়বিচার। কিন্তু আজও সে সমাজ আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।”

বিজ্ঞাপন

ড. ইউনূস বলেন, “দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতি, লুটপাট, গুম ও খুনের ভয়াবহ চক্রে এক ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের আত্মত্যাগ আমাদের ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ আমরা কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে পারি না।”

পুরস্কার প্রাপ্তদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “মরণোত্তর পুরস্কারের চেয়ে জীবিত অবস্থায় সম্মান পাওয়ার আনন্দই আলাদা। একজন মানুষ জীবদ্দশায় স্বীকৃতি পেলে সেটা কেবল তাঁর নয়, বরং তাঁর পরিবার ও জাতির জন্যও গৌরবের বিষয়।”

তিনি প্রস্তাব দেন, “আমরা যেন ভবিষ্যতে এমন একটি রীতি চালু করতে পারি, যেখানে মরণোত্তর পুরস্কার নয়, জীবিত অবস্থাতেই কৃতিত্বের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যারা আমাদের গৌরব, তাদের সম্মান জানানোর জন্য আমাদের এগিয়ে আসতেই হবে।”

তিনি আরও বলেন, “পুরস্কার প্রদান শুধু ব্যক্তিগত সম্মান নয়, এটি জাতির সম্মান। যাঁদের আজ আমরা স্মরণ করছি, তাঁরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। জীবিত অবস্থায় তাদের অবদানকে স্বীকৃতি না দিলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হবো।”

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ের উপর ভিত্তি করে সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০২:০১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে এসেও একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ, যেখানে থাকবে আইনের শাসন, মানবিক মর্যাদা এবং ন্যায়বিচার। কিন্তু আজও সে সমাজ আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।”

বিজ্ঞাপন

ড. ইউনূস বলেন, “দেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। দুর্নীতি, লুটপাট, গুম ও খুনের ভয়াবহ চক্রে এক ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের আত্মত্যাগ আমাদের ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ আমরা কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে পারি না।”

পুরস্কার প্রাপ্তদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “মরণোত্তর পুরস্কারের চেয়ে জীবিত অবস্থায় সম্মান পাওয়ার আনন্দই আলাদা। একজন মানুষ জীবদ্দশায় স্বীকৃতি পেলে সেটা কেবল তাঁর নয়, বরং তাঁর পরিবার ও জাতির জন্যও গৌরবের বিষয়।”

তিনি প্রস্তাব দেন, “আমরা যেন ভবিষ্যতে এমন একটি রীতি চালু করতে পারি, যেখানে মরণোত্তর পুরস্কার নয়, জীবিত অবস্থাতেই কৃতিত্বের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যারা আমাদের গৌরব, তাদের সম্মান জানানোর জন্য আমাদের এগিয়ে আসতেই হবে।”

তিনি আরও বলেন, “পুরস্কার প্রদান শুধু ব্যক্তিগত সম্মান নয়, এটি জাতির সম্মান। যাঁদের আজ আমরা স্মরণ করছি, তাঁরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। জীবিত অবস্থায় তাদের অবদানকে স্বীকৃতি না দিলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হবো।”

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।