০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু কুয়াকাটার হোটেলে ঝুলন্ত মরদেহ, স্বামী পরিচয়ে থাকা যুবকের খোঁজ নেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা

আজ সেই ভয়াল ২৫ মার্চ: গণহত্যার বিভীষিকাময় স্মৃতি আজও কাঁদায় জাতিকে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 61

ছবি সংগৃহীত

 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলা জাতির ইতিহাসে এক নির্মম, বিভীষিকাময় রাত। ওই রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শুরু করে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামক পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার বুকে ঘুমন্ত, নিরস্ত্র মানুষদের ওপর আধুনিক অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা, রাজারবাগ, শাঁখারীবাজারসহ শহরের অগণিত এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে দেয় নৃশংসতা। মুহূর্তেই শহরটি পরিণত হয় লাশের শহরে।

আজ ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস। সেদিনের শহীদদের স্মরণে সারা দেশে পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচি। রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত এক মিনিট প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ কর্মসূচি পালন করা হবে। জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনগুলোতে কোনো আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণীতে বলেন, “২৫ মার্চ ছিল এক গণহত্যার সূচনাদিন, যেখানে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালানো হয় নিরপরাধ বাঙালির ওপর। সে রাতেই শুরু হয় স্বাধীনতার রক্তাক্ত অধ্যায়, যা শেষ হয় বিজয়ের সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে।”

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণহত্যা স্মরণে আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ এবং বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সিটি করপোরেশনগুলো, এবং অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজন করেছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার ও বিশেষ দোয়ার অনুষ্ঠান।

মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ সব উপাসনালয়ে আজ বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

একাত্তরের এই ভয়াবহ রাত জাতিকে যে রক্তের মূল্য দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, তা কখনও ভুলে যাওয়ার নয়। স্বাধীনতার অঙ্গীকার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সংগ্রামে সেই আত্মত্যাগই আজও পথ দেখায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ সেই ভয়াল ২৫ মার্চ: গণহত্যার বিভীষিকাময় স্মৃতি আজও কাঁদায় জাতিকে

আপডেট সময় ১০:৪১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলা জাতির ইতিহাসে এক নির্মম, বিভীষিকাময় রাত। ওই রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শুরু করে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামক পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ। ঢাকার বুকে ঘুমন্ত, নিরস্ত্র মানুষদের ওপর আধুনিক অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা, রাজারবাগ, শাঁখারীবাজারসহ শহরের অগণিত এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে দেয় নৃশংসতা। মুহূর্তেই শহরটি পরিণত হয় লাশের শহরে।

আজ ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস। সেদিনের শহীদদের স্মরণে সারা দেশে পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচি। রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত এক মিনিট প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ কর্মসূচি পালন করা হবে। জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনগুলোতে কোনো আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণীতে বলেন, “২৫ মার্চ ছিল এক গণহত্যার সূচনাদিন, যেখানে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালানো হয় নিরপরাধ বাঙালির ওপর। সে রাতেই শুরু হয় স্বাধীনতার রক্তাক্ত অধ্যায়, যা শেষ হয় বিজয়ের সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে।”

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণহত্যা স্মরণে আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ এবং বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সিটি করপোরেশনগুলো, এবং অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজন করেছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার ও বিশেষ দোয়ার অনুষ্ঠান।

মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ সব উপাসনালয়ে আজ বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

একাত্তরের এই ভয়াবহ রাত জাতিকে যে রক্তের মূল্য দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, তা কখনও ভুলে যাওয়ার নয়। স্বাধীনতার অঙ্গীকার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সংগ্রামে সেই আত্মত্যাগই আজও পথ দেখায়।