ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের নতুন দিগন্ত, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর হবে ঐতিহাসিক: প্রেসসচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 25

ছবি: সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন চীন সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।

আগামী ২৬ মার্চ চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। সফরের দ্বিতীয় দিন, ২৭ মার্চ, তিনি হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠেয় বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। এরপর ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং কৌশলগত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে।

প্রেসসচিব জানান, এই সফরে বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হবে চীনের বিভিন্ন কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা। বিশেষ করে, চীনের শিল্প কারখানাগুলো যেন বাংলাদেশে স্থানান্তর করে, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। চীনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পাবে।

শফিকুল আলম বলেন, চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানি ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চীনের দুটি কোম্পানি ইতোমধ্যে অফিস স্থাপন করেছে এবং সোলার এনার্জি প্রকল্পে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে চীনের সোলার কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক ট্রেড প্রটেকশনের কারণে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে, যা বাংলাদেশে থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা বিপুল পরিমাণে আমদানি করতে চায়। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হবে।

প্রেসসচিব আশা প্রকাশ করেন, এই সফরের পর আরও চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। বিশেষ করে, চীনের হাসপাতাল চেইনগুলো যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে পারে।

এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং বাণিজ্যিক ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের নতুন দিগন্ত, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর হবে ঐতিহাসিক: প্রেসসচিব

আপডেট সময় ০৫:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন চীন সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।

আগামী ২৬ মার্চ চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। সফরের দ্বিতীয় দিন, ২৭ মার্চ, তিনি হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠেয় বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। এরপর ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং কৌশলগত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে।

প্রেসসচিব জানান, এই সফরে বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হবে চীনের বিভিন্ন কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা। বিশেষ করে, চীনের শিল্প কারখানাগুলো যেন বাংলাদেশে স্থানান্তর করে, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। চীনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পাবে।

শফিকুল আলম বলেন, চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানি ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চীনের দুটি কোম্পানি ইতোমধ্যে অফিস স্থাপন করেছে এবং সোলার এনার্জি প্রকল্পে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে চীনের সোলার কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক ট্রেড প্রটেকশনের কারণে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে, যা বাংলাদেশে থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা বিপুল পরিমাণে আমদানি করতে চায়। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হবে।

প্রেসসচিব আশা প্রকাশ করেন, এই সফরের পর আরও চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। বিশেষ করে, চীনের হাসপাতাল চেইনগুলো যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে পারে।

এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং বাণিজ্যিক ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।