স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার জন্য ঈদে ১৬ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

- আপডেট সময় ১০:৩৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
- / 37
আসন্ন ঈদুল ফিতরে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সারা দেশের হাসপাতালগুলোকে ১৬টি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এসব নির্দেশনার মধ্যে জরুরি বিভাগ, লেবার রুম, ইমারজেন্সি অপারেশন থিয়েটার এবং ল্যাব সার্বক্ষণিক চালু রাখার নির্দেশ রয়েছে। জরুরি বিভাগে অতিরিক্ত চিকিৎসক পদায়নের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহের পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এসব নির্দেশনা জানানো হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো:
১. জরুরি বিভাগে অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগ করে সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
২. জরুরি বিভাগ, লেবার রুম, ইমারজেন্সি অপারেশন থিয়েটার এবং ল্যাব সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৩. কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল নিশ্চিত করতে ঈদের আগে ও পরে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া যেতে পারে।
৪. প্রতিষ্ঠান প্রধান জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রমকে প্রাধান্য দিয়ে ছুটি মঞ্জুর করবেন।
৫. সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন।
৬. হাসপাতালে অন্তঃবিভাগ ইউনিট প্রধানরা প্রতিদিন কার্যক্রম তদারকি করবেন, এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে জরুরি ল্যাব ও এক্সরে সেবা চালু রাখতে হবে।
৭. ছুটির আগে যথেষ্ট ওষুধ, আইভি ফ্লুইড, কেমিক্যাল রি-এজেন্ট ও সার্ভিক্যাল সামগ্রী মজুদ করতে হবে।
৮. অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৯. ছুটির সময় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করতে হবে।
১০. স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপন সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১১. প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভাগের প্রধানরা সেবা প্রদানকারী কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করবেন।
১২. প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে নির্ধারণ করতে হবে এবং তার নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
১৩. ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি করতে হবে এবং রোগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হবে।
১৪. বহির্বিভাগ ৭২ ঘণ্টার বেশি বন্ধ রাখা যাবে না।
১৫. সব বেসরকারি ক্লিনিক/হাসপাতাল জরুরি ও প্রসূতি বিভাগ সার্বক্ষণিক খোলা রাখবে এবং রোগী রেফার করার আগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
১৬. যেকোনো দুর্যোগ বা অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
এই নির্দেশনাগুলো স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন ও রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।