ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত হলে প্রতিটি যুদ্ধেই বিজয় অর্জন করা সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:০৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / 47

ছবি: সংগৃহীত

 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “যদি আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে যেকোনো চ্যালেঞ্জ জয় করা সম্ভব।”

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানে তিনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের দায়িত্ব সম্পর্কে গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “পুলিশের কার্যকর ভূমিকা ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। পুলিশই দেশের শৃঙ্খলা রক্ষার মূল শক্তি। আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা গেলে সরকার, গণতন্ত্র এবং নাগরিক অধিকার রক্ষা করা সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, “এক সময় পুলিশ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ছিল, কিন্তু এখন সময় এসেছে আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার। পুলিশ বাহিনীকে দায়িত্বশীল ও সেবামূলক মনোভাব নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে বলে সতর্ক করে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা এখন এক ধরনের যুদ্ধাবস্থায় আছি। এই সুযোগে দেশবিরোধী চক্র অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইবে। তাই পুলিশের দায়িত্ব এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ। সতর্ক থেকে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।” তিনি পুলিশ বাহিনীকে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার জন্য একাগ্রতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ এক বিশাল সম্ভাবনার দেশ। কিন্তু আমরা এখনও সেই সম্ভাবনাকে পুরোপুরি বাস্তবে রূপ দিতে পারিনি। জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন করে দেশ গড়ার সুযোগ এসেছে। আমাদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি শৃঙ্খল, সুশাসিত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। পুলিশ বাহিনী যদি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে, তবে এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব।” বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের ১২৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত হলে প্রতিটি যুদ্ধেই বিজয় অর্জন করা সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:০৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “যদি আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে যেকোনো চ্যালেঞ্জ জয় করা সম্ভব।”

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানে তিনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের দায়িত্ব সম্পর্কে গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “পুলিশের কার্যকর ভূমিকা ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। পুলিশই দেশের শৃঙ্খলা রক্ষার মূল শক্তি। আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা গেলে সরকার, গণতন্ত্র এবং নাগরিক অধিকার রক্ষা করা সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, “এক সময় পুলিশ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ছিল, কিন্তু এখন সময় এসেছে আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার। পুলিশ বাহিনীকে দায়িত্বশীল ও সেবামূলক মনোভাব নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।”

নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে বলে সতর্ক করে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা এখন এক ধরনের যুদ্ধাবস্থায় আছি। এই সুযোগে দেশবিরোধী চক্র অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইবে। তাই পুলিশের দায়িত্ব এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ। সতর্ক থেকে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।” তিনি পুলিশ বাহিনীকে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষার জন্য একাগ্রতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ এক বিশাল সম্ভাবনার দেশ। কিন্তু আমরা এখনও সেই সম্ভাবনাকে পুরোপুরি বাস্তবে রূপ দিতে পারিনি। জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন করে দেশ গড়ার সুযোগ এসেছে। আমাদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি শৃঙ্খল, সুশাসিত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। পুলিশ বাহিনী যদি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে, তবে এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব।” বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের ১২৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।