বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের কূটনৈতিক নীতি: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৩ দেশে বহুপাক্ষিক সফর
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সফর করবেন। এই সফরের উদ্দেশ্য হলো বৈশ্বিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা।
ড. ইউনূস ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে ঢাকা ত্যাগ করতে পারেন এবং ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। গত বছরের আগস্টে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ড. ইউনূসকে চীন সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান, যার ফলস্বরূপ এই সফরের প্রস্তুতি চলছে।
চীনের পর, ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করবেন ড. ইউনূস। এই সম্মেলনে বাংলাদেশ পরবর্তী চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে। থাইল্যান্ড সফরের সময়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার একান্ত বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এরপর, ২৯ ও ৩০ মে, জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত নিক্কেই ৩০তম ফিউচার অব এশিয়া ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য অধ্যাপক ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২০০৪ সালে নিক্কেই এশিয়া পুরস্কার প্রাপ্ত ড. ইউনূস, ওসাকা এক্সপো ২০২৫-এও যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। এ সময়, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজনে দুই দেশই কাজ করছে।
এ সফরের মাধ্যমে ড. ইউনূস বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের অবস্থান শক্তিশালী করার প্রয়াস নিয়েছেন। তার এই উদ্যোগ দেশের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।