ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস রামগঞ্জে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবী ছাত্রদলের ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত হবে, আমানতকারীদের স্বার্থেই কাজ করছি: গভর্নর যুক্তরাষ্ট্র-সিরিয়া সম্পর্কের নব অধ্যায়: রিয়াদে ট্রাম্প-আল-শারার ঐতিহাসিক বৈঠক সিলেট সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করল বিএসএফ, আটক বিজিবির ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে উল্লাসে মেতে উঠলো সিরিয়ার জনতা আটারি সীমান্তে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে একজন করে সেনা বন্দিবিনিময় দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে রাজশাহী নার্সিং কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

নাগরিক সেবা ডিজিটালাইজেশনে বড় পদক্ষেপ, চার মন্ত্রণালয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 33

ছবি সংগৃহীত

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের নাগরিক সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম দ্রুত ডিজিটালাইজড করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ভূমি মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, এই উদ্যোগের আওতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রমকে সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে শতভাগ ইলেকট্রনিক ফাইল ব্যবহারের পাশাপাশি এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (ইআরপি) ও ডিজিটাল স্বাক্ষরের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে ডাটার আন্তঃক্রিয়াশীলতা (ইন্টারঅপারেবিলিটি) নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সেবাগ্রহীতাদের সুবিধার্থে বিভিন্ন দপ্তরের তথ্য সমন্বয় করতে হবে। ম্যানুয়াল ফর্ম ফিলাপের ঝামেলা এড়িয়ে নিরাপদ এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ব্যবহারের মাধ্যমে ডাটা বিনিময় নিশ্চিত করতে হবে।”

বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বর্তমানে নিজেদের স্বতন্ত্র ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করায় একধরনের ‘ডাটা সাইলো’ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে তথ্য আদান-প্রদানে জটিলতা দেখা দিচ্ছে। তাই সরকারের অগ্রাধিকার এখন এসব সাইলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হবে। এতে করে নাগরিক সেবা আরও সহজ, গতিশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরকারের এই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কার্যকর সংযোগ স্থাপন হলে সাধারণ জনগণের হয়রানি কমবে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও দক্ষ হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

নাগরিক সেবা ডিজিটালাইজেশনে বড় পদক্ষেপ, চার মন্ত্রণালয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১২:০৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের নাগরিক সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে চারটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম দ্রুত ডিজিটালাইজড করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ভূমি মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, এই উদ্যোগের আওতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রমকে সম্পূর্ণ অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে শতভাগ ইলেকট্রনিক ফাইল ব্যবহারের পাশাপাশি এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (ইআরপি) ও ডিজিটাল স্বাক্ষরের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে ডাটার আন্তঃক্রিয়াশীলতা (ইন্টারঅপারেবিলিটি) নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সেবাগ্রহীতাদের সুবিধার্থে বিভিন্ন দপ্তরের তথ্য সমন্বয় করতে হবে। ম্যানুয়াল ফর্ম ফিলাপের ঝামেলা এড়িয়ে নিরাপদ এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ব্যবহারের মাধ্যমে ডাটা বিনিময় নিশ্চিত করতে হবে।”

বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বর্তমানে নিজেদের স্বতন্ত্র ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করায় একধরনের ‘ডাটা সাইলো’ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে তথ্য আদান-প্রদানে জটিলতা দেখা দিচ্ছে। তাই সরকারের অগ্রাধিকার এখন এসব সাইলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হবে। এতে করে নাগরিক সেবা আরও সহজ, গতিশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরকারের এই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কার্যকর সংযোগ স্থাপন হলে সাধারণ জনগণের হয়রানি কমবে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও দক্ষ হবে।