ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

নারী শ্রমিকের অধিকার: মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করার দাবি!

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • / 37

ছবি সংগৃহীত

 

নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা শুধুমাত্র তাদের স্বাস্থ্য এবং পরিবারের জন্য নয়, বরং সমগ্র সমাজের জন্যও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। বর্তমানে, অধিকাংশ দেশে মাতৃত্বকালীন ছুটি সাধারণত ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে, তবে তা অনেক ক্ষেত্রেই যথেষ্ট নয়। এই প্রেক্ষাপটে নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটিকে ৬ মাস করার দাবি একটি সময়োপযোগী এবং মানবিক প্রয়োজন।

মাতৃত্বকালীন ছুটি একটি মা এবং নবজাতকের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। এই সময়কালটি মায়েদের জন্য শারীরিক ও মানসিক পুনরুদ্ধারের সুযোগ দেয় এবং নবজাতকের জন্য প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়ার সময়সীমা প্রদান করে। দীর্ঘ ছুটি মায়েদের মধ্যে স্তন্যদান এবং নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সহায়ক।

অনেক নারী শ্রমিক জীবিকার প্রয়োজনে কাজ করতে বাধ্য হন, যা তাদের মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়কালকে সংকুচিত করে। মাতৃত্বকালীন ছুটির অভাবের কারণে তারা কর্মক্ষেত্রে ফিরে এসে মানসিক চাপ ও শারীরিক অসুস্থতার সম্মুখীন হন। এই পরিস্থিতি তাদের কর্মক্ষমতা এবং মনোবলকে প্রভাবিত করে, যা দীর্ঘমেয়াদে প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (ILO) মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য কমপক্ষে ৬ মাসের সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশের ভিত্তিতে, সরকার এবং নীতিনির্ধারকদের উচিত তা বাস্তবায়ন করা। নারীদের স্বাস্থ্য, পরিবার এবং সমাজের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ অপরিহার্য।

সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচিত নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট নীতি তৈরি করা। এটি অন্তর্ভুক্ত করবে ছুটির সময়কাল, পেমেন্ট এবং পুনর্বহালের প্রক্রিয়া। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা জরুরি, যাতে নারীরা মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন।

নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য ৬ মাসের দাবি সমর্থন করতে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে সমতার জন্য আন্দোলন গড়ে তোলা এবং নারীদের অধিকার নিয়ে আলোচনা শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নারী শ্রমিকের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করার দাবি একটি মৌলিক মানবিক দাবি। এটি নারীদের স্বাস্থ্য, পরিবার এবং সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের উচিত এই দাবি বিবেচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে নারী শ্রমিকরা নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

নারী শ্রমিকের অধিকার: মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করার দাবি!

আপডেট সময় ০৩:০৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

 

নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা শুধুমাত্র তাদের স্বাস্থ্য এবং পরিবারের জন্য নয়, বরং সমগ্র সমাজের জন্যও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। বর্তমানে, অধিকাংশ দেশে মাতৃত্বকালীন ছুটি সাধারণত ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে, তবে তা অনেক ক্ষেত্রেই যথেষ্ট নয়। এই প্রেক্ষাপটে নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটিকে ৬ মাস করার দাবি একটি সময়োপযোগী এবং মানবিক প্রয়োজন।

মাতৃত্বকালীন ছুটি একটি মা এবং নবজাতকের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। এই সময়কালটি মায়েদের জন্য শারীরিক ও মানসিক পুনরুদ্ধারের সুযোগ দেয় এবং নবজাতকের জন্য প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়ার সময়সীমা প্রদান করে। দীর্ঘ ছুটি মায়েদের মধ্যে স্তন্যদান এবং নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সহায়ক।

অনেক নারী শ্রমিক জীবিকার প্রয়োজনে কাজ করতে বাধ্য হন, যা তাদের মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়কালকে সংকুচিত করে। মাতৃত্বকালীন ছুটির অভাবের কারণে তারা কর্মক্ষেত্রে ফিরে এসে মানসিক চাপ ও শারীরিক অসুস্থতার সম্মুখীন হন। এই পরিস্থিতি তাদের কর্মক্ষমতা এবং মনোবলকে প্রভাবিত করে, যা দীর্ঘমেয়াদে প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন (ILO) মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য কমপক্ষে ৬ মাসের সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশের ভিত্তিতে, সরকার এবং নীতিনির্ধারকদের উচিত তা বাস্তবায়ন করা। নারীদের স্বাস্থ্য, পরিবার এবং সমাজের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ অপরিহার্য।

সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচিত নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট নীতি তৈরি করা। এটি অন্তর্ভুক্ত করবে ছুটির সময়কাল, পেমেন্ট এবং পুনর্বহালের প্রক্রিয়া। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা জরুরি, যাতে নারীরা মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন।

নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য ৬ মাসের দাবি সমর্থন করতে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে সমতার জন্য আন্দোলন গড়ে তোলা এবং নারীদের অধিকার নিয়ে আলোচনা শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নারী শ্রমিকের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করার দাবি একটি মৌলিক মানবিক দাবি। এটি নারীদের স্বাস্থ্য, পরিবার এবং সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের উচিত এই দাবি বিবেচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে নারী শ্রমিকরা নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন করতে পারেন।