ঢাকা ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ

সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগে সব বাধা কাটল, আপিল বিভাগে জয় পেলেন ৬,৫৩১ প্রার্থী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৬:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / 45

ছবি সংগৃহীত

 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর চাকরিতে যোগদানের আর কোনো বাধা নেই। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আজ রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শিক্ষক নিয়োগের পথ খুলে গেল।

আজকের রায়ে হাইকোর্টের পূর্বের রায় স্থগিত করা হয়েছে, যার ফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এখন নির্ভিগ্নে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ। উত্তীর্ণ শিক্ষকদের পক্ষে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলনসহ একাধিক আইনজীবী এবং রিটকারী ১৫৪ জনের পক্ষে আইনজীবী মিফতা উদ্দিন চৌধুরী শুনানি করেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ এনে উত্তীর্ণদের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। এর প্রেক্ষিতে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন।

হাইকোর্ট ২০২৪ সালের আপিল বিভাগের কোটাসংক্রান্ত রায়ের আলোকে নতুন ফলাফল প্রকাশের নির্দেশনা দেয়, যা এই বিশাল সংখ্যক প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আটকে দেয়।

আপিল বিভাগের রায়ে সেই বাধা দূর হলো। শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া পুনরায় চালু হওয়ায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। দীর্ঘ অনিশ্চয়তা শেষে অবশেষে তারা চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন, যা দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন শিক্ষক সংযুক্তির পথ প্রশস্ত করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগে সব বাধা কাটল, আপিল বিভাগে জয় পেলেন ৬,৫৩১ প্রার্থী

আপডেট সময় ১০:২৬:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর চাকরিতে যোগদানের আর কোনো বাধা নেই। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আজ রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শিক্ষক নিয়োগের পথ খুলে গেল।

আজকের রায়ে হাইকোর্টের পূর্বের রায় স্থগিত করা হয়েছে, যার ফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এখন নির্ভিগ্নে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ। উত্তীর্ণ শিক্ষকদের পক্ষে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলনসহ একাধিক আইনজীবী এবং রিটকারী ১৫৪ জনের পক্ষে আইনজীবী মিফতা উদ্দিন চৌধুরী শুনানি করেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ এনে উত্তীর্ণদের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। এর প্রেক্ষিতে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীর নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন।

হাইকোর্ট ২০২৪ সালের আপিল বিভাগের কোটাসংক্রান্ত রায়ের আলোকে নতুন ফলাফল প্রকাশের নির্দেশনা দেয়, যা এই বিশাল সংখ্যক প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আটকে দেয়।

আপিল বিভাগের রায়ে সেই বাধা দূর হলো। শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া পুনরায় চালু হওয়ায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। দীর্ঘ অনিশ্চয়তা শেষে অবশেষে তারা চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন, যা দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন শিক্ষক সংযুক্তির পথ প্রশস্ত করবে।