০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে আগারগাঁওয়ে বিস্ফোরণ: দগ্ধ একই পরিবারের সাতজন ডিজিটাল গ্রিন কার্ডে মিলবে মালয়েশিয়ার নির্মাণশ্রমিকদের বেতন ঢাকায় জোবাইদা রহমান, বেগম জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা ক্যারিবিয়ান সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৪

কালের কণ্ঠের ‘ডিক্লারেশন’ কেন বাতিল হবে না হাইকোর্টের রুল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:১৩:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / 66

ছবি সংগৃহীত

 

বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন দৈনিক কালের কণ্ঠ–এর ঘোষণাপত্র (ডিক্লারেশন) বাতিল করা হবে কি না—এই বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পত্রিকার সাবেক ১১ কর্মীকে তাঁদের বকেয়া পাওনা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

গত ১৩ অক্টোবর পত্রিকাটির সাবেক ১১ কর্মী ডিক্লারেশন বাতিলের দাবিতে রিট আবেদন করেন। আজ রিটটি কার্যতালিকার ১০৬ নম্বরে ওঠে।

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মানজুর আল মতিন জানান, পত্রিকাটির সাবেক কর্মীদের যে চেক দেওয়া হয়েছিল তা ব্যাংকে পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় প্রত্যাখ্যাত হয়। তিনি বলেন,
“যে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল নেই, তার ডিক্লারেশন বহাল থাকে কীভাবে?”
বিচারপতি বেঞ্চ এই যুক্তির ভিত্তিতেই রুল জারি করেন।

রিটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসক, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর এবং পত্রিকার প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীকে বিবাদী করা হয়।

রিটে বলা হয়—

কালের কণ্ঠের নিয়মিত প্রকাশনা চালানোর মতো আর্থিক সক্ষমতা নেই।

কর্মীদের বকেয়া পরিশোধ না হওয়া এবং চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়া এর সাক্ষ্য।

তাই ১৯৭৩ সালের প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস অ্যাক্ট অনুযায়ী পত্রিকার ডিক্লারেশন কেন বাতিল করা হবে না, তার ব্যাখ্যা চাইতে রুল দেওয়া হোক।

পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, এমডি ও প্রকাশককে সাবেক কর্মীদের বকেয়া পরিশোধে নির্দেশ দেওয়া হোক।

১১ আবেদনকারী হলেন—
মো. শাহ আলম, মো. জাহেদুল আলম, কাকলী প্রধান, দেওয়ান আতিকুর রহমান, আবু সালেহ মোহাম্মদ শফিক, কে এম লতিফুল হক, আসাদুর রহমান, মো. রোকনুজ্জামান, শামসুন নাহার, মো. লতিফুল বাশার ও হানযালা হান।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কালের কণ্ঠের ‘ডিক্লারেশন’ কেন বাতিল হবে না হাইকোর্টের রুল

আপডেট সময় ০৬:১৩:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

 

বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন দৈনিক কালের কণ্ঠ–এর ঘোষণাপত্র (ডিক্লারেশন) বাতিল করা হবে কি না—এই বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পত্রিকার সাবেক ১১ কর্মীকে তাঁদের বকেয়া পাওনা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

গত ১৩ অক্টোবর পত্রিকাটির সাবেক ১১ কর্মী ডিক্লারেশন বাতিলের দাবিতে রিট আবেদন করেন। আজ রিটটি কার্যতালিকার ১০৬ নম্বরে ওঠে।

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মানজুর আল মতিন জানান, পত্রিকাটির সাবেক কর্মীদের যে চেক দেওয়া হয়েছিল তা ব্যাংকে পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় প্রত্যাখ্যাত হয়। তিনি বলেন,
“যে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল নেই, তার ডিক্লারেশন বহাল থাকে কীভাবে?”
বিচারপতি বেঞ্চ এই যুক্তির ভিত্তিতেই রুল জারি করেন।

রিটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসক, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর এবং পত্রিকার প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীকে বিবাদী করা হয়।

রিটে বলা হয়—

কালের কণ্ঠের নিয়মিত প্রকাশনা চালানোর মতো আর্থিক সক্ষমতা নেই।

কর্মীদের বকেয়া পরিশোধ না হওয়া এবং চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়া এর সাক্ষ্য।

তাই ১৯৭৩ সালের প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস অ্যাক্ট অনুযায়ী পত্রিকার ডিক্লারেশন কেন বাতিল করা হবে না, তার ব্যাখ্যা চাইতে রুল দেওয়া হোক।

পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, এমডি ও প্রকাশককে সাবেক কর্মীদের বকেয়া পরিশোধে নির্দেশ দেওয়া হোক।

১১ আবেদনকারী হলেন—
মো. শাহ আলম, মো. জাহেদুল আলম, কাকলী প্রধান, দেওয়ান আতিকুর রহমান, আবু সালেহ মোহাম্মদ শফিক, কে এম লতিফুল হক, আসাদুর রহমান, মো. রোকনুজ্জামান, শামসুন নাহার, মো. লতিফুল বাশার ও হানযালা হান।