১০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন, ঘেটো বানাবেন না: তথ্য উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৫৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
  • / 38

ছবি সংগৃহীত

 

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারে সহযোগিতা করতে, তবে মানবাধিকারের প্রশ্নে যেন কেউ পিছিয়ে না থাকেন। তিনি বলেন, “কোনো এলাকাকে ‘ঘেটো’ বানানোর চেষ্টা করবেন না। সকলের মানবিক মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”

শনিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি। সেখানে তিনি গোপালগঞ্জ প্রসঙ্গে বলেন, “গোপালগঞ্জের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ নিম্নবর্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের। তাদের অনেকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে নিপীড়ন ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। আমাদের কর্তব্য হলো, সারা বাংলাদেশে যারা নিপীড়িত ও বঞ্চিত, তাদের সঙ্গে সংহতি গড়ে তোলা।”

বিজ্ঞাপন

হাসিনা সরকারের পতনের প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, “হাসিনার পরাজয় শুধু রাজনৈতিক ছিল না, ছিল নৈতিকও। এই নৈতিক পরাজয় থেকেই রাজনৈতিক পতনের পথ তৈরি হয়েছিল। তাই আমাদের উচিত হবে না এমন কোনো অবস্থান নেওয়া, যা আমাদের নৈতিক উচ্চতা খর্ব করে।”

তিনি বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের পর যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, যেখানে মানবিক মর্যাদা, সুবিচার ও বৈষম্যহীনতা থাকবে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করাটাই এখন আমাদের দায়িত্ব।”

পোস্টে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আক্ষেপ করে বলেন, “এখনো অনেকেই কেবল ভাঙার চিন্তায় ব্যস্ত, গড়ার কাজের মানুষ নেই বললেই চলে। অথচ পুরনো ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এখন তা ভাঙার চেষ্টা করলে তা আরও বেঁকে যাবে। সময় আসবে যখন আবার ভাঙা যাবে, কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের মনোনিবেশ করা উচিত গড়ার কাজে।”

তিনি স্বীকার করেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেক অপ্রস্তুতি ও অভিজ্ঞতার অভাব ছিল, যার ফলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পুরোপুরি বিলোপ ঘটানো যায়নি। তবে এখনো সময় আছে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের সুসংগঠিত করে, জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে সে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।

মাহফুজ আলমের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, তেমনি নাগরিক সমাজের মধ্যেও একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন, ঘেটো বানাবেন না: তথ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:৫৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

 

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারে সহযোগিতা করতে, তবে মানবাধিকারের প্রশ্নে যেন কেউ পিছিয়ে না থাকেন। তিনি বলেন, “কোনো এলাকাকে ‘ঘেটো’ বানানোর চেষ্টা করবেন না। সকলের মানবিক মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”

শনিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি। সেখানে তিনি গোপালগঞ্জ প্রসঙ্গে বলেন, “গোপালগঞ্জের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ নিম্নবর্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের। তাদের অনেকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে নিপীড়ন ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। আমাদের কর্তব্য হলো, সারা বাংলাদেশে যারা নিপীড়িত ও বঞ্চিত, তাদের সঙ্গে সংহতি গড়ে তোলা।”

বিজ্ঞাপন

হাসিনা সরকারের পতনের প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, “হাসিনার পরাজয় শুধু রাজনৈতিক ছিল না, ছিল নৈতিকও। এই নৈতিক পরাজয় থেকেই রাজনৈতিক পতনের পথ তৈরি হয়েছিল। তাই আমাদের উচিত হবে না এমন কোনো অবস্থান নেওয়া, যা আমাদের নৈতিক উচ্চতা খর্ব করে।”

তিনি বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের পর যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, যেখানে মানবিক মর্যাদা, সুবিচার ও বৈষম্যহীনতা থাকবে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করাটাই এখন আমাদের দায়িত্ব।”

পোস্টে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আক্ষেপ করে বলেন, “এখনো অনেকেই কেবল ভাঙার চিন্তায় ব্যস্ত, গড়ার কাজের মানুষ নেই বললেই চলে। অথচ পুরনো ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এখন তা ভাঙার চেষ্টা করলে তা আরও বেঁকে যাবে। সময় আসবে যখন আবার ভাঙা যাবে, কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের মনোনিবেশ করা উচিত গড়ার কাজে।”

তিনি স্বীকার করেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেক অপ্রস্তুতি ও অভিজ্ঞতার অভাব ছিল, যার ফলে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পুরোপুরি বিলোপ ঘটানো যায়নি। তবে এখনো সময় আছে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের সুসংগঠিত করে, জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে সে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।

মাহফুজ আলমের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, তেমনি নাগরিক সমাজের মধ্যেও একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।