ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শতাব্দীর আতঙ্ক ‘নর’ইস্টার’ ঝড় নিয়ে প্রকাশিত হলো চাঞ্চল্যকর সব সত্য ভালুকায় গৃহবধূ ও দুই সন্তান হত্যা: প্রধান আসামি দেবর নজরুল গ্রেপ্তার উদ্ভিদের গোপন শব্দে সাড়া দেয় পতঙ্গ ও প্রাণীরা: গবেষণায় উদ্ভিদের ভাষার রহস্য উদঘাটন বাংলাদেশের জাহাজ ও বন্দর খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরকে আহ্বান: নৌ উপদেষ্টা শামীম ওসমান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা, সন্তানদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে: আলী রীয়াজ অপরাধী যেন কেউ ছাড়া না পায়, কঠোরভাবে দমন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন দিন: কুড়িগ্রামে রিজভী মাদরাসা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক, এটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির স্বীকৃতি চান নি: প্রেস উইং

৩২ হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / 7

ছবি: সংগৃহীত

 

সরকারি ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শূন্য পদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষার মান ও বিদ্যালয়গুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে খোঁজ নেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি জানতে চান, কোন কোন স্কুল ভালো করছে এবং কীভাবে শিক্ষার মান আরও উন্নত করা যায়।

উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় জানান, “অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক অর্থ খরচ হলেও কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা মান অর্জন সম্ভব হয়নি। তাই আমরা মূল্যায়নের ভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলোর র‍্যাংকিং করছি এবং পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছি।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব স্কুল ভালো করছে সেখানে প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা ও সহকর্মীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে প্রায় ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে, এবং দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।”

এ প্রেক্ষিতে, প্রধান উপদেষ্টা যোগ্য ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তরুণ শিক্ষকদের জন্যও সুযোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কয়েকটি ক্যাটাগরি নির্ধারণের পরামর্শ দেন যাতে অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে নির্বাচন করা যায়।

তিনি দ্রুত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে সমন্বয়ের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, “এক উপজেলায় পোস্টিং পাওয়ার পর অনেক শিক্ষক শহরের কাছে বদলির জন্য তদবির করেন। এটি রোধে একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া থাকতে হবে।”

স্কুলের অবকাঠামোতে নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে তিনি বলেন, “ভবন নির্মাণ কমিটিতে নারী স্থপতিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যাতে মেয়েদের প্রয়োজন বিবেচনায় আনা যায়।”

অবশেষে, দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে ইন্টারনেট সংযোগ ও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপনের ওপর জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

নিউজটি শেয়ার করুন

৩২ হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০২:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

 

সরকারি ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শূন্য পদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষার মান ও বিদ্যালয়গুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে খোঁজ নেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি জানতে চান, কোন কোন স্কুল ভালো করছে এবং কীভাবে শিক্ষার মান আরও উন্নত করা যায়।

উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় জানান, “অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক অর্থ খরচ হলেও কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা মান অর্জন সম্ভব হয়নি। তাই আমরা মূল্যায়নের ভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলোর র‍্যাংকিং করছি এবং পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছি।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব স্কুল ভালো করছে সেখানে প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা ও সহকর্মীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে প্রায় ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে, এবং দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।”

এ প্রেক্ষিতে, প্রধান উপদেষ্টা যোগ্য ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তরুণ শিক্ষকদের জন্যও সুযোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কয়েকটি ক্যাটাগরি নির্ধারণের পরামর্শ দেন যাতে অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে নির্বাচন করা যায়।

তিনি দ্রুত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে সমন্বয়ের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, “এক উপজেলায় পোস্টিং পাওয়ার পর অনেক শিক্ষক শহরের কাছে বদলির জন্য তদবির করেন। এটি রোধে একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া থাকতে হবে।”

স্কুলের অবকাঠামোতে নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে তিনি বলেন, “ভবন নির্মাণ কমিটিতে নারী স্থপতিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যাতে মেয়েদের প্রয়োজন বিবেচনায় আনা যায়।”

অবশেষে, দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে ইন্টারনেট সংযোগ ও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপনের ওপর জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।