গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার

- আপডেট সময় ০৮:৩০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
- / 2
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সংস্কারমূলক পদক্ষেপগুলোর কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সভার আলোকে নতুন সিদ্ধান্তগুলোর মাধ্যমে গণমাধ্যমের কাঠামোগত ও নীতিগত উন্নয়নে গতি আনা হবে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষায় একটি অধ্যাদেশ প্রণয়ন। স্বল্প সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে এই অধ্যাদেশ জারি করা হবে বলে জানানো হয়।
সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা নিরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পত্রিকার বিজ্ঞাপন হার যৌক্তিকভাবে বাড়ানোর বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিরূপণে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) থেকে বার্ষিক জরিপ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন খাতে অস্বচ্ছতা এবং প্রতিযোগিতাবিরোধী কর্মকাণ্ড নিরসনে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএম রেডিওর ক্ষেত্রে জামানত ফি যৌক্তিক হারে কমিয়ে আনা, বিজ্ঞাপন প্রচারে নির্ধারিত ফি প্রদান এবং বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর কাটা ২ শতাংশ সরকারি ফি বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সরকারি ঘোষণাসমূহ বিনামূল্যে প্রচার করতে হবে।
গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট কলাম লেখক, প্রদায়ক, শিল্পী ও অতিথি উপস্থাপকদের সম্মানীর ওপর অগ্রিম কর রেহাই দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
টেলিভিশন চ্যানেলের আপ-লিংক ও ডাউন-লিংকে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ বিষয়ে বিএসসিএলের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পাঠ্যক্রম আধুনিকীকরণ এবং সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তথ্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ‘বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
এই সংস্কার পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশের গণমাধ্যম খাত আরও আধুনিক, কার্যকর ও গণমুখী হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।