রাজবাড়ীর পাংশাতে ইউপি সদস্য ও ব্যবসায়ীর বিরোধে সংঘর্ষ, আহত ৬

- আপডেট সময় ০১:১৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
- / 6
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নে ইউপি সদস্য তানজীদ হোসেন ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মুল্লুক মোল্লার মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কেয়াগ্রাম ও পারকুল এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। তানজীদ হোসেন ও মুল্লুক মোল্লার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি মুল্লুক মোল্লাসহ কয়েকজন সমাজ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ায় বিরোধের সূত্রপাত হয়। মঙ্গলবার সকালে তানজীদের লোকজন মুল্লুক মোল্লার বাড়িতে গিয়ে তাকে আগের সমাজে ফিরতে বললে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে মুল্লুক মোল্লার দোকানের সামনে কথা-কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের ১৪-১৫টি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এমনকি সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এস এম মতিউর রহমানের বাড়ির প্রধান ফটকেও হামলা চালানো হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তানজীদ হোসেন (৪৫), লক্ষীপুর গ্রামের তছির আহম্মেদ (২৯), আশিকুর রহমান তন্ময় (১৭), ইসমাইল মোল্লা (১৫), তাওহীদ হোসেন (৫০) এবং প্রধান শিক্ষক জামির হোসেন (৪৫)। তাদের পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত তানজীদ হোসেনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তানজীদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “মুল্লুক মোল্লার নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। আমাকে হাতুড়ি দিয়ে মারধর করা হয়েছে।” তিনি জানান, থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে কসবামাজাইল ইউপির চেয়ারম্যান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের ভাতিজা শাহরিয়ার সুফল মাহমুদ বলেন, “সমাজভিত্তিক বিরোধ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের জেরে করিম হাসান ও ফারুক খানের নেতৃত্বে আমাদের বাড়ির ফটকে হামলা হয়।”
পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, সংঘর্ষের পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইতোমধ্যে তানজীদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ওহিদুর রহমান ওরফে মুক্তিকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।