০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

আশুরা আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে সাহস জোগায়: প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / 129

ছবি সংগৃহীত

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস জোগাবে।

শনিবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “পবিত্র আশুরার শোকাবহ এই দিনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং কারবালার প্রান্তরে শাহাদতবরণকারী সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “ইসলাম সত্য, ন্যায় ও শান্তির ধর্ম। ইসলামের এই মহৎ আদর্শ সমুন্নত রাখতে গিয়ে হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম কারবালায় ইমাম হোসেন (রা.), তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠ সহচররা ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে শহীদ হন। অত্যাচারীর অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তাঁদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার এই মহান উদাহরণ যুগে যুগে মানবজাতিকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “কারবালার বিয়োগান্তক ঘটনার পাশাপাশি আশুরা ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি দিন। এ দিনকে কেন্দ্র করে পৃথিবী সৃষ্টিসহ বহু তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।”

তিনি উল্লেখ করেন, হাদিসে বর্ণিত আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরার দিনে দুটি রোজা রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাই এ দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আসুন, এই মহিমান্বিত দিনের তাৎপর্য হৃদয়ে ধারণ করি এবং মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য বেশি বেশি নেক আমল করি। সমাজে সাম্য, ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পবিত্র আশুরার এই দিনে আমি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও অগ্রগতি কামনা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, আশুরার শিক্ষা থেকে প্রেরণা নিয়ে সবাই মিলে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে এবং মানবতার কল্যাণে কাজ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আশুরা আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে সাহস জোগায়: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:২৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস জোগাবে।

শনিবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “পবিত্র আশুরার শোকাবহ এই দিনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং কারবালার প্রান্তরে শাহাদতবরণকারী সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “ইসলাম সত্য, ন্যায় ও শান্তির ধর্ম। ইসলামের এই মহৎ আদর্শ সমুন্নত রাখতে গিয়ে হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম কারবালায় ইমাম হোসেন (রা.), তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠ সহচররা ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে শহীদ হন। অত্যাচারীর অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তাঁদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার এই মহান উদাহরণ যুগে যুগে মানবজাতিকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “কারবালার বিয়োগান্তক ঘটনার পাশাপাশি আশুরা ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি দিন। এ দিনকে কেন্দ্র করে পৃথিবী সৃষ্টিসহ বহু তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।”

তিনি উল্লেখ করেন, হাদিসে বর্ণিত আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরার দিনে দুটি রোজা রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তাই এ দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আসুন, এই মহিমান্বিত দিনের তাৎপর্য হৃদয়ে ধারণ করি এবং মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য বেশি বেশি নেক আমল করি। সমাজে সাম্য, ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পবিত্র আশুরার এই দিনে আমি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও অগ্রগতি কামনা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, আশুরার শিক্ষা থেকে প্রেরণা নিয়ে সবাই মিলে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে এবং মানবতার কল্যাণে কাজ করবে।