জুলাই আন্দোলনের মূল মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ দূর করে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়া: প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৪:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
- / 4
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের মূল মর্মবাণী ছিল ফ্যাসিবাদ দূর করে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা। মঙ্গলবার (১ জুলাই) অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, সামনের পথ সহজ হবে না, তবে সম্ভাবনা যথেষ্ট রয়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, জনগণ যখন জাগ্রত হয়, তখন কোনো শক্তিই তাকে দমিয়ে রাখতে পারে না। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা চাই এই স্মরণকে প্রতি বছর উদযাপন করতে, যাতে আর কখনো ১৬ বছর ধরে অপেক্ষা করতে না হয় নতুন অভ্যুত্থানের জন্য। স্বৈরাচারের যেকোনো চিহ্ন দেখা মাত্রই তাকে ধ্বংস করতে হবে, তাই এ কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ। স্বৈরাচারের বইয়ের প্রথম পাতা মেলার আগেই যেন আমরা তাকে ধরে ফেলতে পারি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে গভীর শ্রদ্ধা জানাই সেই সব সাহসী তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, রিকশাচালকদের, যারা রাজপথে নেমে গণতন্ত্রের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছিলেন। তাদের ত্যাগ, সাহস আর দৃঢ়তা আমাদের আজও অনুপ্রাণিত করে।”
মাসব্যাপী কর্মসূচির প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, এটি শুধুই স্মরণের আয়োজন নয়, বরং একটি নতুন শপথ। তিনি বলেন, “গত বছরের জুলাইয়ে এ দেশের সকল শ্রেণি-পেশা-বয়সের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল, আমরা চাই এই জুলাইয়ে সেই ঐক্য আরও সুসংহত হোক।”
তিনি এও উল্লেখ করেন, “আমাদের এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার দাবি তোলা এবং রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সংস্কারের সুযোগ যেন আর হারিয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করা।”
তিনি সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এই লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা দেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া না যায়।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও ড. ইউনূসের বক্তব্যের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় নিজেদের অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।