০৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১০

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৩০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / 38

ছবি সংগৃহীত

 

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

রবিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মেহেরদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মেহেরদিয়া গ্রামের নুরইসলাম মুন্সী ও সালাউদ্দিন কাজীর মধ্যে এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে শনিবার রাতে নুরইসলামের সমর্থক মো. জিলু মোল্যাকে মারধর করে সালাউদ্দিন কাজীর অনুসারীরা। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিনোকদিয়া বাজারের কাছে সালাউদ্দিন কাজীর ভাই জালাল কাজী ও তার ছেলে শাহীন কাজীকে মারধর করে নুরইসলাম মুন্সীর ছেলে মামুন ও রিপন।

এরই জের ধরে রবিবার সকালে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ সময় অন্তত পাঁচটি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে জিলু মোল্যা, জালাল কাজী, পান্নু মোল্যা, মিনারা বেগমসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন রয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সহিংসতা ঘটছে, কিন্তু স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।”

তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১০

আপডেট সময় ০৬:৩০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

 

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

রবিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মেহেরদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মেহেরদিয়া গ্রামের নুরইসলাম মুন্সী ও সালাউদ্দিন কাজীর মধ্যে এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে শনিবার রাতে নুরইসলামের সমর্থক মো. জিলু মোল্যাকে মারধর করে সালাউদ্দিন কাজীর অনুসারীরা। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিনোকদিয়া বাজারের কাছে সালাউদ্দিন কাজীর ভাই জালাল কাজী ও তার ছেলে শাহীন কাজীকে মারধর করে নুরইসলাম মুন্সীর ছেলে মামুন ও রিপন।

এরই জের ধরে রবিবার সকালে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ সময় অন্তত পাঁচটি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে জিলু মোল্যা, জালাল কাজী, পান্নু মোল্যা, মিনারা বেগমসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন রয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সহিংসতা ঘটছে, কিন্তু স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।”

তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।