সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে অভিনন্দন জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৬:২৮:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / 7
চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস। একই সঙ্গে আগামী বছরের হজ যেন আরও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সে লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এবারের মতোই ভবিষ্যতেও হজ ব্যবস্থাপনাকে নির্ভুল ও প্রশংসনীয় করতে হবে। এ বছর ছোটখাটো যেসব ত্রুটি ছিল, তা শনাক্ত করে আগামীতে যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।”
বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেন জানান, হজ ২০২৬-এর জন্য ইতোমধ্যে রোডম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১০ জুলাই বাংলাদেশিদের জন্য হজ কোটা ঘোষণা করা হবে।
ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক জানান, হজ ২০২৬ এর কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় হজযাত্রীদের মেডিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হবে। দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন বা ডেডিকেটেড সরকারি হাসপাতালের পরিচালকের কাছ থেকে এ সার্টিফিকেট নিতে হবে।
তিনি জানান, ২১ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। ১ ডিসেম্বর সেবা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি ও ৪ জানুয়ারি ভেন্ডর ও কোটেশন অনুমোদন শেষ হবে। ২০ মার্চ থেকে হজ ভিসা প্রদান এবং ১৮ এপ্রিল থেকে ফ্লাইট শুরু হবে। ২৯ মে হবে পবিত্র হজের টেস্ট (সেবা যাচাইকরণ)।
চলতি বছর ৮৭ হাজার ১০০ জন বাংলাদেশি হজ পালন করেছেন। ‘লাব্বাইক’ মোবাইল অ্যাপে ৩০ হাজার ২৩৪ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। হজ পালনকালে ৩৮ জন হজযাত্রী স্বাভাবিক মৃত্যু বরণ করেন এবং বর্তমানে ২৪ জন সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ২৫ জুন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৫১ হাজার ৬১৫ জন হজযাত্রী।
এছাড়া, হজ চলাকালীন ৮০৬টি লাগেজ হারানোর তথ্য পাওয়া যায়, যার মধ্যে ৭৯০টি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ১৬টি লাগেজ উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
ধর্ম সচিব আরও জানান, পরপর তিন বছর হজযাত্রী পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ায় ৪১৫টি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজেন্সিগুলোর পারফরম্যান্স মূল্যায়নে হজযাত্রীদের সন্তুষ্টি, চুক্তি রক্ষা ও সরকারি নীতিমালা অনুসরণ বিবেচনা করে তাদেরকে এ প্লাস, এ, বি, সি ও ডি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনুস ‘এ প্লাস’ প্রাপ্ত এজেন্সিগুলোকে শুভেচ্ছা চিঠি পাঠাতে নির্দেশ দেন এবং হজযাত্রী ও সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “সবার প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে যাতে তারা নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারেন।”
‘লাব্বাইক’ অ্যাপ ব্যবহার বৃদ্ধির নির্দেশনাও দেন তিনি, যাতে আগ্রহীরা আগাম তথ্য ও সেবা সহজেই পেতে পারেন, এমনকি ওমরাহ পালনের ক্ষেত্রেও।