০৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

মাদক পাচারের নতুন কৌশল প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / 29

ছবি সংগৃহীত

 

আধুনিক প্রযুক্তির যুগে মাদক পাচার ও ব্যবহারের পদ্ধতিতে এসেছে নতুনত্ব, আর সেই কৌশলগুলো প্রতিহত করতেই এখন সময়ের দাবি বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “দেশ আজ মাদকের আগ্রাসনে বিপর্যস্ত। এর কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো মাদক পাচারে নারী ও শিশুকে ব্যবহার করা হচ্ছে, যার ফলে তারাও মাদকের ভয়াবহ থাবায় জড়িয়ে পড়ছে।”

তিনি বলেন, “মাদক একটি বহুমাত্রিক সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নিয়মিত প্রচারণা চালানো দরকার।”

জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাদকাসক্তদের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে মানসম্মত নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মাদকাসক্তদের ফিরিয়ে আনার জন্য মানবিক উদ্যোগ নিতে হবে। চিকিৎসা, কাউন্সেলিং এবং পুনর্বাসনের মাধ্যমে তাদের সমাজে পুনঃস্থাপন নিশ্চিত করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাদক শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সংকট তৈরি করে। তাই মাদক নিয়ন্ত্রণে শুধু আইনি পদক্ষেপ নয়, দরকার সামাজিক প্রতিরোধও।

আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনেরা মাদকবিরোধী আন্দোলনে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে প্রযুক্তি-নির্ভর মাদকের পাচার কৌশল শনাক্ত করে দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন বক্তারা।

অনুষ্ঠান শেষে মাদকবিরোধী কার্যক্রমে অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

মাদক পাচারের নতুন কৌশল প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৩:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

আধুনিক প্রযুক্তির যুগে মাদক পাচার ও ব্যবহারের পদ্ধতিতে এসেছে নতুনত্ব, আর সেই কৌশলগুলো প্রতিহত করতেই এখন সময়ের দাবি বলেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “দেশ আজ মাদকের আগ্রাসনে বিপর্যস্ত। এর কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো মাদক পাচারে নারী ও শিশুকে ব্যবহার করা হচ্ছে, যার ফলে তারাও মাদকের ভয়াবহ থাবায় জড়িয়ে পড়ছে।”

তিনি বলেন, “মাদক একটি বহুমাত্রিক সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নিয়মিত প্রচারণা চালানো দরকার।”

জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাদকাসক্তদের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে মানসম্মত নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মাদকাসক্তদের ফিরিয়ে আনার জন্য মানবিক উদ্যোগ নিতে হবে। চিকিৎসা, কাউন্সেলিং এবং পুনর্বাসনের মাধ্যমে তাদের সমাজে পুনঃস্থাপন নিশ্চিত করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাদক শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সংকট তৈরি করে। তাই মাদক নিয়ন্ত্রণে শুধু আইনি পদক্ষেপ নয়, দরকার সামাজিক প্রতিরোধও।

আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনেরা মাদকবিরোধী আন্দোলনে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে প্রযুক্তি-নির্ভর মাদকের পাচার কৌশল শনাক্ত করে দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন বক্তারা।

অনুষ্ঠান শেষে মাদকবিরোধী কার্যক্রমে অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।