১৪তম দিনে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ অব্যাহত

- আপডেট সময় ০৩:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
- / 9
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলন বুধবার গড়িয়েছে ১৪তম দিনে। আজ ১৮ জুন সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবনের সামনে সকাল থেকেই জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা। একইসঙ্গে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই অধ্যাদেশ আংশিক সংশোধন কিংবা পরিমার্জনের মাধ্যমে নয়, পুরোপুরি বাতিল করতেই হবে। তাঁদের মতে, এই অধ্যাদেশ বাস্তবায়িত হলে চাকরিজীবীদের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে এবং চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কর্মচারীরা বলেন, “আমরা চাই না কোনো ধরনের সংশোধন বা পরিবর্তন। আমরা চাই পুরোপুরি বাতিল করা হোক এই অধ্যাদেশ। এটি কর্মীদের স্বার্থবিরোধী এবং আমরা এটি মেনে নিতে পারি না।”
তারা আরও জানান, দাবি আদায় না হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রয়োজনে এই কর্মসূচিকে আরও বিস্তৃত করা হবে।
একজন আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা বারবার দাবি জানিয়ে আসছি, অথচ কেউ আমাদের কণ্ঠ শুনছে না। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছি। যদি আমাদের ন্যায্য দাবি মানা না হয়, তাহলে কঠোর আন্দোলনে যেতে আমরা প্রস্তুত।”
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ নিয়ে সচিবালয়ের বিভিন্ন দফতরে কর্মরত শতাধিক কর্মচারী টানা কর্মবিরতি ও প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন। তাঁরা আশাবাদী, সরকার শিগগিরই বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে। তবে দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।
সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই টানা আন্দোলন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের দৈনন্দিন কার্যক্রমে প্রভাব ফেলেছে বলে জানা গেছে। সাধারণ মানুষও তাদের কাজকর্ম নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
অপরদিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সচিবালয়ে চলমান এই আন্দোলন কতদূর গড়ায় এবং সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, এখন সেটিই দেখার বিষয়।