ঈদের ছুটি শেষ, ঢাকায় নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

- আপডেট সময় ১০:৫৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
- / 15
ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। আগামীকাল রোববার থেকে অফিস-আদালত খুলে যাওয়ার কথা থাকায় শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সকালে সদরঘাট ছিল লঞ্চযাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম। দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে যাত্রীবোঝাই লঞ্চ একের পর এক ভিড়েছে ঘাটে। ভাড়ায় বাড়তি অভিযোগ না থাকলেও যাত্রীর অতিরিক্ত চাপের কারণে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অনেককে। গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লেগেছে আগের চেয়ে বেশি।
কমলাপুর রেলস্টেশনেও একই চিত্র। সকাল থেকেই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ট্রেনে ছিল উপচে পড়া যাত্রী। কেউ ফিরেছেন পরিবারের সঙ্গে, কেউবা একাই। স্টেশনজুড়ে ছিল অপেক্ষমাণ মানুষের দীর্ঘ লাইন। কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, আগের দুই দিনের তুলনায় শনিবার যাত্রীর সংখ্যা ছিল বেশি।
শুধু নৌ ও রেলপথ নয়, রাজধানীতে প্রবেশের অন্যান্য সড়কপথেও ছিল তীব্র চাপ। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে গণপরিবহন সংকটে। বাস পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ায় অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। তীব্র গরমের মধ্যেই দাঁড়িয়ে থেকেছেন সড়কের পাশে, কোনোভাবে গন্তব্যে পৌঁছানোর আশায়।
সড়কে দেখা গেছে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগও। অনেক পরিবহন ৪ থেকে ৫ গুণ পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে হেঁটেই রওনা হয়েছেন অফিস বা বাড়ির উদ্দেশে।
এক যাত্রী জানালেন, “ভাড়ার কারণে রিকশাও নিতে পারিনি। অনেকটা পথ হেঁটেই আসতে হয়েছে।”
যাত্রীর চাপ সামাল দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি বলে জানিয়েছেন অনেকে। ফলে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষদের জন্য দিনটি হয়ে ওঠে একরাশ দুর্ভোগের নাম।
অফিস খুলে যাওয়ার আগের দিন হওয়ায় রাজধানীমুখী মানুষের এই ঢল ছিল প্রত্যাশিত। তবে পরিবহন খাতে তেমন কোনো প্রস্তুতি না থাকায় দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই ফিরতে হয়েছে লাখো মানুষকে।