ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানে ইসরায়েলি হামলা: আরব দেশগুলোর তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগের ঝড় উত্ত্যক্তকারীদের রুখতে পরিবার ও সমাজকে হতে হবে সক্রিয় ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি ইরানের স্বর্ণ-রুপার আজকের বাজারদর: বাজুসের সর্বশেষ মূল্য সমন্বয় তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ জেনারেল ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা নিহত, ইরানের কঠোর প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি ইসরায়েলি হামলার পর আকাশসীমা বন্ধ করল ইরান, জরুরি অবস্থা জারি ইউনূস-তারেক বৈঠকে আশার আলো দেখছে খেলাফত মজলিস ওয়ানডেতে নেতৃত্বে নতুন অধ্যায়, অধিনায়ক হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ লন্ডনে তারেক রহমান-ড. ইউনূস বৈঠকে নির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই: প্রেস সচিব কামিন্সের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত দ.আফ্রিকা, অল্প রানেও লিড অজিদের

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ দফা জরুরি নির্দেশনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 9

ছবি সংগৃহীত

 

নতুন করে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বাড়ছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে। দেশে করোনার নতুন একটি উপধরনে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ অবস্থায় সংক্রমণ প্রতিরোধে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এই নির্দেশনাগুলো তুলে ধরেন। তিনি জানান, করোনাভাইরাসের কয়েকটি নতুন সাব–ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যেই শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসজনিত সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সতর্কতা হিসেবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

সংক্রমণ রোধে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো ঠেকাতে দেশের সব স্থলবন্দর, নৌবন্দর ও বিমানবন্দরের আইএইচআর (IHR) ডেস্কগুলোতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি এবং জোর দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর। এর পাশাপাশি দেশের জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসাধারণের করণীয়

১. জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন এবং উপস্থিত হতেই হলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।

২. শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।

৩. হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক–মুখ ঢেকে রাখুন।

৪. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন।

৫. ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।

৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ ধরবেন না।

৭. আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়

১. জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন।

২. রোগীর নাক–মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।

৩. রোগীর সেবাদানকারীরাও সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করুন।

৪. প্রয়োজন হলে কাছের হাসপাতালে অথবা আইইডিসিআর (০১৪০১–১৯৬২৯৩) অথবা স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩)–এর নম্বরে যোগাযোগ করুন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থা সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আওতায় rt-PCR ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা, টিকাদান কর্মসূচি, চিকিৎসা নির্দেশিকা, ওষুধ, অক্সিজেন, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (যেমন: হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর), আইসিইউ ও এইচডিইউ সুবিধাসংবলিত কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল এবং সেবাদানকারীদের সুরক্ষাসামগ্রী (যেমন: KN95 মাস্ক, পিপিই, ফেস শিল্ড ইত্যাদি) প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আশা করছে, এসব উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ দফা জরুরি নির্দেশনা

আপডেট সময় ০৪:৩৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

 

নতুন করে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বাড়ছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে। দেশে করোনার নতুন একটি উপধরনে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ অবস্থায় সংক্রমণ প্রতিরোধে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এই নির্দেশনাগুলো তুলে ধরেন। তিনি জানান, করোনাভাইরাসের কয়েকটি নতুন সাব–ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যেই শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসজনিত সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সতর্কতা হিসেবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

সংক্রমণ রোধে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো ঠেকাতে দেশের সব স্থলবন্দর, নৌবন্দর ও বিমানবন্দরের আইএইচআর (IHR) ডেস্কগুলোতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি এবং জোর দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর। এর পাশাপাশি দেশের জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসাধারণের করণীয়

১. জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন এবং উপস্থিত হতেই হলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।

২. শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।

৩. হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক–মুখ ঢেকে রাখুন।

৪. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন।

৫. ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)।

৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ ধরবেন না।

৭. আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়

১. জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন।

২. রোগীর নাক–মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।

৩. রোগীর সেবাদানকারীরাও সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করুন।

৪. প্রয়োজন হলে কাছের হাসপাতালে অথবা আইইডিসিআর (০১৪০১–১৯৬২৯৩) অথবা স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩)–এর নম্বরে যোগাযোগ করুন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থা সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আওতায় rt-PCR ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা, টিকাদান কর্মসূচি, চিকিৎসা নির্দেশিকা, ওষুধ, অক্সিজেন, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (যেমন: হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর), আইসিইউ ও এইচডিইউ সুবিধাসংবলিত কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল এবং সেবাদানকারীদের সুরক্ষাসামগ্রী (যেমন: KN95 মাস্ক, পিপিই, ফেস শিল্ড ইত্যাদি) প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আশা করছে, এসব উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।