বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করতে অপপ্রচারে লিপ্ত কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম: সেনাবাহিনী

- আপডেট সময় ০৮:২৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
- / 1
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নর্থইস্ট নিউজ সম্প্রতি একটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ‘মিলিটারি অপারেশনস জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এই ভিত্তিহীন তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
রবিবার (১ জুন) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, নর্থইস্ট নিউজ-এর উক্ত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন। এতে কোনো প্রকার বাস্তবতা নেই এবং এটি সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতিমালারও পরিপন্থী।
সেনাবাহিনী বলেছে, প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ‘সন্ত্রাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে’ এমন ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি কেবল মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ, যার লক্ষ্য বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং সামরিক বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এ পেশাদারিত্ব থেকে কোনোভাবেই বিচ্যুত হবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও সংবিধান রক্ষায় সেনাবাহিনী নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।”
সেনাবাহিনী এই ধরনের অপপ্রচারকে ‘সাংবাদিকতার সীমা ছাড়িয়ে ষড়যন্ত্রমূলক কুৎসা রচনার অংশ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমের এমন আচরণ সুস্পষ্টভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টার প্রতিফলন।
বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়, “বাংলাদেশ সবসময়ই অভ্যন্তরীণ ঐক্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও জাতীয় সংহতি বজায় রেখে এগিয়ে গেছে। দেশের মাটি, মানুষ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত ও অটল অবস্থানে রয়েছে।”
এই অপপ্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতীয় জনগণের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করে সেনাবাহিনী। তারা প্রত্যাশা করে, ভবিষ্যতে এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন সাংবাদিকতা থেকে বিরত থাকবে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমগুলো।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেশবাসীকে আহ্বান জানানো হয়েছে গুজব বা মিথ্যা প্রচারে কান না দিয়ে, বিভ্রান্তি ছড়ানো তথ্য যাচাই করে দেখার। কারণ, দেশের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিটি নাগরিকের সচেতনতা ও ঐক্য অপরিহার্য।