ঢাকা ০৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত ধারার রিট খারিজ হাইকোর্টে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 14

ছবি সংগৃহীত

 

নারী সংস্কার কমিশনের কিছু বিতর্কিত ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৬ মে) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে ১৯ মে এই রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য ২৬ মে তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।

রিট আবেদনে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশে থাকা কিছু বিতর্কিত ও সাংঘর্ষিক ধারা পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে এসব ধারার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এই রিটটি দায়ের করেন। তিনি আদালতে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, কমিশনের কিছু সুপারিশ দেশে প্রচলিত আইন, ধর্মীয় বিধান ও সাংবিধানিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই তা পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

তবে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, কমিশনের সুপারিশমালা এখনো আইনে রূপ নেয়নি, বরং এটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ফলে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার এখতিয়ার আদালতের এখনো সৃষ্টি হয়নি।

সব পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। আদালত মনে করেন, এই পর্যায়ে রিটের ওপর আদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, নারী সংস্কার কমিশন একটি প্রস্তাবিত কমিশন, যার উদ্দেশ্য নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালায় সংস্কার আনা। তবে কিছু সুপারিশ নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন মহলে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

এই রায়ের ফলে কমিশনের সুপারিশগুলোর ভবিষ্যত কার্যকারিতা বা আইন হিসেবে রূপ নেওয়ার বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত ধারার রিট খারিজ হাইকোর্টে

আপডেট সময় ০৩:৫২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

নারী সংস্কার কমিশনের কিছু বিতর্কিত ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৬ মে) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে ১৯ মে এই রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য ২৬ মে তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।

রিট আবেদনে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশে থাকা কিছু বিতর্কিত ও সাংঘর্ষিক ধারা পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে এসব ধারার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এই রিটটি দায়ের করেন। তিনি আদালতে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, কমিশনের কিছু সুপারিশ দেশে প্রচলিত আইন, ধর্মীয় বিধান ও সাংবিধানিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই তা পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

তবে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, কমিশনের সুপারিশমালা এখনো আইনে রূপ নেয়নি, বরং এটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ফলে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার এখতিয়ার আদালতের এখনো সৃষ্টি হয়নি।

সব পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। আদালত মনে করেন, এই পর্যায়ে রিটের ওপর আদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, নারী সংস্কার কমিশন একটি প্রস্তাবিত কমিশন, যার উদ্দেশ্য নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালায় সংস্কার আনা। তবে কিছু সুপারিশ নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন মহলে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

এই রায়ের ফলে কমিশনের সুপারিশগুলোর ভবিষ্যত কার্যকারিতা বা আইন হিসেবে রূপ নেওয়ার বিষয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।