ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাজেকে শুরু হলো স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম ফাহমিদুল ইসলামকে আবার ডাক দিল বাফুফে: জাতীয় দলে নতুন আশা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুহাম্মদ ইসলাম লন্ডনে ডেপুটি সিভিক মেয়র নির্বাচিত “ফারাক্কার ফাঁদে বাংলাদেশ: বাঁধের পঞ্চাশ বছরের বেদনা ও বিপর্যয়।” আইপিএল পুনরায় শুরুর আগে ধাক্কা দিল্লীর শিবিরে, নেই স্টার্ক-ডু প্লেসিস-ফেরেয়রা ভারত-পাকিস্তান চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়লো আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে ৪৭,৪২০ হজযাত্রীর যাত্রা সম্পন্ন ঈদ উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু, যাত্রীদের ভিড় ঢাকায় নিরাপদ পথচারী পারাপারের জন্য ডিএমপির নতুন উদ্যোগ

আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩১:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

আজ ১৬ মে, ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান থেকে শুরু হয় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে এক ঐতিহাসিক লংমার্চ।

এই লংমার্চের মূল লক্ষ্য ছিল ভারত কর্তৃক গঙ্গা নদীর পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহারের প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা। মরণবাঁধ নামে পরিচিত ফারাক্কা ব্যারাজের বিরুদ্ধে এই জনজোয়ার পরিণত হয় এক শক্তিশালী গণআন্দোলনে।

লংমার্চ চলাকালীন রাজশাহী থেকে ফারাক্কার উদ্দেশ্যে অগ্রসরমান মিছিল ভারতের বিরুদ্ধে নানা স্লোগানে মুখর ছিল। মজলুম জননেতা তার জ্বালাময়ী ভাষণে বলেন:

“তাদের জানা উচিত বাংলার মানুষ এক আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পায় না। কারো হুমকিকে পরোয়া করে না। আজ যে ইতিহাস শুরু হয়েছে তা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করবে।”

ফারাক্কা লংমার্চ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। এই দিনটি প্রতিবছর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে জনগণের ঐক্য ও সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে স্মরণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস

আপডেট সময় ১২:৩১:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

 

আজ ১৬ মে, ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান থেকে শুরু হয় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে এক ঐতিহাসিক লংমার্চ।

এই লংমার্চের মূল লক্ষ্য ছিল ভারত কর্তৃক গঙ্গা নদীর পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহারের প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা। মরণবাঁধ নামে পরিচিত ফারাক্কা ব্যারাজের বিরুদ্ধে এই জনজোয়ার পরিণত হয় এক শক্তিশালী গণআন্দোলনে।

লংমার্চ চলাকালীন রাজশাহী থেকে ফারাক্কার উদ্দেশ্যে অগ্রসরমান মিছিল ভারতের বিরুদ্ধে নানা স্লোগানে মুখর ছিল। মজলুম জননেতা তার জ্বালাময়ী ভাষণে বলেন:

“তাদের জানা উচিত বাংলার মানুষ এক আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পায় না। কারো হুমকিকে পরোয়া করে না। আজ যে ইতিহাস শুরু হয়েছে তা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করবে।”

ফারাক্কা লংমার্চ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। এই দিনটি প্রতিবছর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে জনগণের ঐক্য ও সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে স্মরণ করা হয়।