ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফয়জুল করীম: ‘দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ বিশ্বাসীদের কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন আজ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হাসপাতাল নিতে বলায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা: আতঙ্কজনক ঘটনা ডেঙ্গু আতঙ্ক: মৃত্যু ২, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭ ইসরায়েলের সমালোচনায় মার্কিন সরকারের পদক্ষেপ: জাতিসংঘ দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা গাজায় রক্তপাত চলছেই, তবু নেতানিয়াহুকে চাপ দেন না ট্রাম্প—কেন?” জানুয়ারি ২০২৬ থেকে সৌদিতে বিদেশিদের দখলে: নতুন রিয়্যাল এস্টেট আইন কী বলছে? গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবর্তনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 62

ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসকদের মধ্যে মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়ে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “পরিবর্তনের জন্য মনস্থির করে যদি সেবা প্রদান করা যায়, তাহলে দেশের স্বাস্থ্যখাতে অন্তত ২৫ শতাংশ উন্নয়ন সম্ভব।”

সোমবার (১২ মে) রাজধানীর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ‘সিভিল সার্জন সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশের সব জেলার সিভিল সার্জনরা অংশ নিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এটি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত একটি জাতীয় পর্যায়ের সিভিল সার্জন সম্মেলন।

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমরা যেসব সুযোগ-সুবিধা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম হাতে পেয়েছি, তার মধ্য দিয়েই যদি আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দিতে পারি, তাহলে স্বাস্থ্যখাতে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যই সম্ভব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানসিকতা বদলানো।”

তিনি আরও বলেন, “আজকের এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি নতুন মানসিকতার সূচনা করলাম, যা স্বাস্থ্যখাতকে একটি নতুন পথে পরিচালিত করবে। সিভিল সার্জনরা হলেন মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মূল চালিকাশক্তি। তাদের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এলে পুরো ব্যবস্থায়ই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, “চিকিৎসাসেবা শুধু পেশাগত দায়িত্ব নয়, এটি একটি সামাজিক অঙ্গীকার। চিকিৎসকদের মানবিকতা ও পেশাদারিত্বের সংমিশ্রণই রোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে।”

সিভিল সার্জনদের অভিজ্ঞতা, সমস্যা ও চাহিদা জানার পাশাপাশি তাদের উন্নয়নের পরিকল্পনাও এই সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়েও বিভিন্ন সেশন অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সিভিল সার্জনরাও আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই সম্মেলন তাদের জন্য একটি দিকনির্দেশনা তৈরি করবে এবং ভবিষ্যতে তারা আরও দক্ষভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে সক্ষম হবেন।

স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে চিকিৎসকদের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির রূপান্তর কতটা কার্যকর হতে পারে, তার একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় নতুন এক যুগের সূচনা হবে বলেই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট মহলের।

নিউজটি শেয়ার করুন

পরিবর্তনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০১:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

চিকিৎসকদের মধ্যে মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়ে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “পরিবর্তনের জন্য মনস্থির করে যদি সেবা প্রদান করা যায়, তাহলে দেশের স্বাস্থ্যখাতে অন্তত ২৫ শতাংশ উন্নয়ন সম্ভব।”

সোমবার (১২ মে) রাজধানীর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ‘সিভিল সার্জন সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশের সব জেলার সিভিল সার্জনরা অংশ নিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এটি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত একটি জাতীয় পর্যায়ের সিভিল সার্জন সম্মেলন।

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমরা যেসব সুযোগ-সুবিধা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম হাতে পেয়েছি, তার মধ্য দিয়েই যদি আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দিতে পারি, তাহলে স্বাস্থ্যখাতে ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যই সম্ভব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানসিকতা বদলানো।”

তিনি আরও বলেন, “আজকের এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি নতুন মানসিকতার সূচনা করলাম, যা স্বাস্থ্যখাতকে একটি নতুন পথে পরিচালিত করবে। সিভিল সার্জনরা হলেন মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মূল চালিকাশক্তি। তাদের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এলে পুরো ব্যবস্থায়ই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, “চিকিৎসাসেবা শুধু পেশাগত দায়িত্ব নয়, এটি একটি সামাজিক অঙ্গীকার। চিকিৎসকদের মানবিকতা ও পেশাদারিত্বের সংমিশ্রণই রোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে।”

সিভিল সার্জনদের অভিজ্ঞতা, সমস্যা ও চাহিদা জানার পাশাপাশি তাদের উন্নয়নের পরিকল্পনাও এই সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যখাতে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়েও বিভিন্ন সেশন অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সিভিল সার্জনরাও আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই সম্মেলন তাদের জন্য একটি দিকনির্দেশনা তৈরি করবে এবং ভবিষ্যতে তারা আরও দক্ষভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে সক্ষম হবেন।

স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে চিকিৎসকদের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির রূপান্তর কতটা কার্যকর হতে পারে, তার একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় নতুন এক যুগের সূচনা হবে বলেই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট মহলের।