ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুক্তরাজ্যের রুয়ান্ডা মডেল কপি করছে ইইউ — সমালোচনা থেকে সমর্থনে তিন বছরের পথচলা মার্কিন শুল্ক নীতিতে BRICS জোটে নতুন ঐক্যের ঢেউ। চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে প্রায় ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক গাজা সিটির দিকে ইসরায়েলের পূর্ণ দখল অভিযান, ৮ লাখ মানুষের জীবন হুমকিতে। “ফ্রান্সে দাবানলের তাণ্ডব: পুড়ে গেছে ৪২ হাজার একর এলাকা” হুথিদের নতুন নৌ ক্রুজ মিসাইল ‘সাইয়াদ’, লোহিত সাগরে নতুন গেম চেঞ্জার গাজায় ত্রাণের মাধ্যমে জীবাণু যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল চীনের সি৯৪৯ জেটলাইনার কি সুপারসনিক বিমান ভ্রমণের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনবে? ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘মন ও মানসিকতার যুদ্ধেও জয়ী’ হওয়ার দাবি ইরানের বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে প্রকাশ্যেই সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা

আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস বৃহস্পতিবার, ৮ মে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। থ্যালাসেমিয়া রোগ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ৮ মে বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি উদযাপন করা হয়।

এ বছরের দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘থ্যালাসেমিয়ার জন্য সামাজিক ঐক্য গড়ি, রোগীর অগ্রাধিকার নিশ্চিত করি’ এবং এ উপলক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি বাণী দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। মানবকোষে রক্ত তৈরির জন্য দুটি জিন থাকে। যদি একটি জিনে ত্রুটি থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি থ্যালাসেমিয়া বাহক হিসেবে পরিচিত। দুই জিনেই ত্রুটি থাকলে তাকে থ্যালাসেমিয়া রোগী বলা হয়। সব বাহকই রোগীর পর্যায়ে পৌঁছান না। শিশু জন্মের এক থেকে দুই বছরের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া রোগ ধরা পড়ে। রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, ঘন ঘন রোগসংক্রমণ, শিশুর ওজন না বাড়া, জন্ডিস এবং খিটখিটে মেজাজ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১১.৪ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। ২০১৪-১৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭ থেকে ৮ শতাংশ। দেশে বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ হাজার থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছে।

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ২,৭২৫ জন, ২০১৯ সালে ৩,০৯৮ জন, ২০২০ সালে ৩,৪১৬ জন, ২০২১ সালে ৪,৯৪১ জন, ২০২২ সালে ৬,০৫ জন, ২০২৩ সালে ৭,০২২ জন এবং ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৭,৫১১ জন। প্রতিবছর ৬ থেকে ৭ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম নিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস

আপডেট সময় ১১:৩৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস বৃহস্পতিবার, ৮ মে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। থ্যালাসেমিয়া রোগ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ৮ মে বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি উদযাপন করা হয়।

এ বছরের দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘থ্যালাসেমিয়ার জন্য সামাজিক ঐক্য গড়ি, রোগীর অগ্রাধিকার নিশ্চিত করি’ এবং এ উপলক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি বাণী দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। মানবকোষে রক্ত তৈরির জন্য দুটি জিন থাকে। যদি একটি জিনে ত্রুটি থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি থ্যালাসেমিয়া বাহক হিসেবে পরিচিত। দুই জিনেই ত্রুটি থাকলে তাকে থ্যালাসেমিয়া রোগী বলা হয়। সব বাহকই রোগীর পর্যায়ে পৌঁছান না। শিশু জন্মের এক থেকে দুই বছরের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া রোগ ধরা পড়ে। রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, ঘন ঘন রোগসংক্রমণ, শিশুর ওজন না বাড়া, জন্ডিস এবং খিটখিটে মেজাজ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১১.৪ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। ২০১৪-১৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭ থেকে ৮ শতাংশ। দেশে বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ হাজার থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছে।

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ২,৭২৫ জন, ২০১৯ সালে ৩,০৯৮ জন, ২০২০ সালে ৩,৪১৬ জন, ২০২১ সালে ৪,৯৪১ জন, ২০২২ সালে ৬,০৫ জন, ২০২৩ সালে ৭,০২২ জন এবং ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৭,৫১১ জন। প্রতিবছর ৬ থেকে ৭ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম নিচ্ছে।