ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিইপিজেডে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৯০টি কারখানায় বিদ্যুৎ সংকট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

সাভারের ঢাকা ইপিজেড (ডিইপিজেড)-এ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের কারণে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। এতে নতুন ও পুরাতন জোনের অন্তত ৯০টি কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ তাদের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এর ফলে ডিইপিজেডের দুই জোনেই একযোগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়।

তিনি আরও বলেন, “হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় গতকাল বিকেলেই অনেক কারখানা ছুটি দিতে বাধ্য হয়। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে ৯০টি কারখানার জন্য ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (আরইবি) মাত্র ২৫ মেগাওয়াট সরবরাহ করতে পারছে। এ বিদ্যুৎ দিয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ কারখানা আংশিকভাবে চালু রাখা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট কারখানাগুলো নিজস্ব জেনারেটরের মাধ্যমে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে।”

ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আরও ১০ থেকে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। তবে বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে আজ অন্তত ৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই বিদ্যুৎ সংকট দীর্ঘায়িত হলে ডিইপিজেডের উৎপাদন কার্যক্রমে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শিল্প উদ্যোক্তারাও দ্রুত সমস্যার সমাধান চেয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডিইপিজেডে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৯০টি কারখানায় বিদ্যুৎ সংকট

আপডেট সময় ০৪:০১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

 

সাভারের ঢাকা ইপিজেড (ডিইপিজেড)-এ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের কারণে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। এতে নতুন ও পুরাতন জোনের অন্তত ৯০টি কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা গ্যাস বিল বকেয়া থাকায় সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ তাদের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এর ফলে ডিইপিজেডের দুই জোনেই একযোগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়।

তিনি আরও বলেন, “হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় গতকাল বিকেলেই অনেক কারখানা ছুটি দিতে বাধ্য হয়। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে ৯০টি কারখানার জন্য ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (আরইবি) মাত্র ২৫ মেগাওয়াট সরবরাহ করতে পারছে। এ বিদ্যুৎ দিয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ কারখানা আংশিকভাবে চালু রাখা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট কারখানাগুলো নিজস্ব জেনারেটরের মাধ্যমে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছে।”

ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আরও ১০ থেকে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। তবে বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে আজ অন্তত ৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই বিদ্যুৎ সংকট দীর্ঘায়িত হলে ডিইপিজেডের উৎপাদন কার্যক্রমে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শিল্প উদ্যোক্তারাও দ্রুত সমস্যার সমাধান চেয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।