ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শীর্ষ সম্মেলনে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় কাতার চ্যারিটির সহযোগিতা চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 17

ছবি: সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের লাখো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ প্রসারিত করতে কাতার চ্যারিটির সহায়তা কামনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

গত মঙ্গলবার দোহায় অনুষ্ঠিত আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কাতার চ্যারিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নওয়াফ আবদুল্লাহ আল হাম্মাদির সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান। বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস কাতার চ্যারিটির বাংলাদেশে পরিচালিত চলমান মানবিক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন, বিশেষ করে এতিম শিশুদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে এলপিজি সরবরাহ কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন।

প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়া ঠেকাতে, তাদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের সুযোগ তৈরি করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, “মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী ও দ্রুত শিখতে সক্ষম। তাদের প্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ দিলে, তারা তা দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে পারবে।”

কাতার চ্যারিটি যাতে সরাসরি মাদ্রাসাগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে পাঠ্যক্রমে প্রযুক্তিভিত্তিক বিষয় অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ নিতে পারে, সেই প্রস্তাবও তিনি দেন। এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যে কোনো সদর্থক সহযোগিতাকে স্বাগত জানাই, বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে।”

জবাবে, কাতার চ্যারিটির প্রধান জানান, সংস্থাটি ইতিমধ্যে কয়েকটি মাদ্রাসাকে দক্ষতা উন্নয়ন ও জীবিকা নির্বাহমূলক কর্মসূচিতে সহায়তা করেছে এবং এই নতুন প্রস্তাবটিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

বৈঠকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অব্যাহত মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগিতার প্রসঙ্গও আলোচিত হয়। অধ্যাপক ইউনূস কাতার চ্যারিটিকে রোহিঙ্গাদের জন্য এলপিজি সরবরাহ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

নারী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মেয়েদের, বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা নিশ্চিত করা দরকার।”

বৈঠকে দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুদ্রঋণের প্রসার নিয়ে আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস কাতার চ্যারিটিকে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে অনুরোধ জানান।

সূত্র: বাসস।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীর্ষ সম্মেলনে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় কাতার চ্যারিটির সহযোগিতা চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস

আপডেট সময় ১১:৫২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশের লাখো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ প্রসারিত করতে কাতার চ্যারিটির সহায়তা কামনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

গত মঙ্গলবার দোহায় অনুষ্ঠিত আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কাতার চ্যারিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নওয়াফ আবদুল্লাহ আল হাম্মাদির সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান। বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস কাতার চ্যারিটির বাংলাদেশে পরিচালিত চলমান মানবিক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন, বিশেষ করে এতিম শিশুদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে এলপিজি সরবরাহ কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন।

প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়া ঠেকাতে, তাদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের সুযোগ তৈরি করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, “মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী ও দ্রুত শিখতে সক্ষম। তাদের প্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ দিলে, তারা তা দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে পারবে।”

কাতার চ্যারিটি যাতে সরাসরি মাদ্রাসাগুলোর সাথে যুক্ত হয়ে পাঠ্যক্রমে প্রযুক্তিভিত্তিক বিষয় অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ নিতে পারে, সেই প্রস্তাবও তিনি দেন। এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যে কোনো সদর্থক সহযোগিতাকে স্বাগত জানাই, বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে।”

জবাবে, কাতার চ্যারিটির প্রধান জানান, সংস্থাটি ইতিমধ্যে কয়েকটি মাদ্রাসাকে দক্ষতা উন্নয়ন ও জীবিকা নির্বাহমূলক কর্মসূচিতে সহায়তা করেছে এবং এই নতুন প্রস্তাবটিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

বৈঠকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অব্যাহত মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগিতার প্রসঙ্গও আলোচিত হয়। অধ্যাপক ইউনূস কাতার চ্যারিটিকে রোহিঙ্গাদের জন্য এলপিজি সরবরাহ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

নারী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মেয়েদের, বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা নিশ্চিত করা দরকার।”

বৈঠকে দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুদ্রঋণের প্রসার নিয়ে আলোচনা হয়। অধ্যাপক ইউনূস কাতার চ্যারিটিকে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে অনুরোধ জানান।

সূত্র: বাসস।