ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ

পুলিশের কোনো সদস্য সিভিল পোশাকে আসামি ধরতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৩৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • / 21

ছবি সংগৃহীত

 

পুলিশের সুশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে তদবির ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। তিনি বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য সিভিল পোশাকে আসামি ধরতে পারবে না। পুলিশ বিভাগে তেলবাজির সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা চলছে, তা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় যশোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরকারি দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে এবং জামিনে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরও নিবিড় নজরদারিতে রাখতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “মাদক নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অ্যাকশন না নিলে চাকরিতে থাকার প্রয়োজন নেই।”

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমরা নিরাময় কেন্দ্র খুলতে চাই না, বরং মাদক প্রবাহই বন্ধ করতে চাই। আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের পর পুলিশের নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করা হয়েছে এবং বদলি বাণিজ্যও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।” থানার ওসিদের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্টদের কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেন।

তদবির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “উপদেষ্টা হওয়ার পর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা বেড়ে গেছে। অনেককেই আমি চিনিও না। কেউ যদি আমার নামে তদবির করে, তাকে প্রথমে চা-নাস্তা খাওয়াবেন, তারপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।”

কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম, খুলনা বিভাগের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এর আগে সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যশোরের ভবদহ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

পুলিশের কোনো সদস্য সিভিল পোশাকে আসামি ধরতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৬:৩৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

 

পুলিশের সুশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে তদবির ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। তিনি বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য সিভিল পোশাকে আসামি ধরতে পারবে না। পুলিশ বিভাগে তেলবাজির সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা চলছে, তা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় যশোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরকারি দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে এবং জামিনে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরও নিবিড় নজরদারিতে রাখতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “মাদক নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অ্যাকশন না নিলে চাকরিতে থাকার প্রয়োজন নেই।”

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমরা নিরাময় কেন্দ্র খুলতে চাই না, বরং মাদক প্রবাহই বন্ধ করতে চাই। আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের পর পুলিশের নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করা হয়েছে এবং বদলি বাণিজ্যও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।” থানার ওসিদের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্টদের কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেন।

তদবির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “উপদেষ্টা হওয়ার পর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা বেড়ে গেছে। অনেককেই আমি চিনিও না। কেউ যদি আমার নামে তদবির করে, তাকে প্রথমে চা-নাস্তা খাওয়াবেন, তারপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।”

কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম, খুলনা বিভাগের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এর আগে সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যশোরের ভবদহ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।