দেশ থেকে অশুভ বিদায় নিয়েছে, বাকিটাও শিগগিরই যাবে: প্রেস সচিব
রাজধানীর রমনার বটমূলে আজ সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ছায়ানট আয়োজিত বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। নানা বর্ণের পোশাক ও সাংস্কৃতিক আবহে উদযাপিত এ উৎসব যেন পরিণত হয়েছে বাঙালির প্রাণের মিলনমেলায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অংশ নিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ এখন বদলে গেছে। অশুভ অনেকটাই পেছনে ফেলে এসেছে দেশ। যে অল্প কিছু নেতিবাচকতা রয়ে গেছে, তা-ও শীঘ্রই বিদায় নেবে।”
তিনি আরও বলেন, “নতুন বাংলাদেশ শুধু একটি ধারণা নয়, এটি এখন বাস্তব। উন্নয়নের ধারায় দেশ এগিয়ে চলেছে আত্মবিশ্বাসের সাথে। আমরা চাই, এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। দেশ থেকে জরা, ক্লান্তি আর নেতিবাচকতা চিরতরে দূর হোক।”
নববর্ষের উৎসব সম্পর্কে তিনি বলেন, “এই উৎসব আর কেবল সংস্কৃতির অনুষঙ্গ নয়, এটি আজ জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। সকল মত ও পথের মানুষ এই দিনে একত্রিত হয়, হাসে, গায়, আবেগে জড়ায়। এটি আমাদের জাতিগত সংহতির বার্তা দেয়।”
তিনি নববর্ষের প্রভাতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আমরা একটি সুখী, শান্তিপূর্ণ ও অগ্রসর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। সে লক্ষ্যেই প্রতিনিয়ত কাজ চলছে। উন্নয়নের এই যাত্রায় সকলের অংশগ্রহণ জরুরি।”
অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত দর্শনার্থীরা জানান, রমনার বটমূলে বর্ষবরণের আয়োজনে অংশ নেওয়া মানেই হচ্ছে আত্মিক প্রশান্তি খোঁজা ও ঐতিহ্যের সাথে সংযুক্ত হওয়া। সকাল থেকে ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনায় মুখরিত হয় পুরো পরিবেশ।
ছায়ানটের আয়োজকরা জানান, বরাবরের মতো এবারও নববর্ষকে কেন্দ্র করে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধকে প্রধান উপজীব্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
রমনার ছায়ানটের মঞ্চ যেন প্রতিটি বছরই বাঙালির আত্মপরিচয়ের একটি গর্বিত প্রকাশ হয়ে ওঠে। এবারের আয়োজনেও তাই ছিল আশাবাদী বার্তা নতুন বছরে অশুভের অবসান ঘটবে, বাংলাদেশ আরও আলোকিত হবে।