নববর্ষের আনন্দে রমনায় লাখো মানুষের মিলনমেলা

- আপডেট সময় ১০:১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
- / 105
বছর ঘুরে আবারও এলো বৈশাখ শান্তি, সৌন্দর্য আর প্রাণের এক অনন্য বার্তা নিয়ে। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র রমনার বটমূলে সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই ছায়ানটের আয়োজনে শুরু হয় বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণ অনুষ্ঠান। ধর্ম, বর্ণ, ধনী-গরিব নির্বিশেষে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ এ আয়োজনে অংশ নেন, যেটি আজ আমাদের মিলনমেলায় রূপ নিয়েছে।
এ বছরের অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’, যা গান, আবৃত্তি ও পরিবেশনার প্রতিটি ধাপে ছুঁয়ে গেছে দর্শকদের হৃদয়। গান আর কবিতায় গাঁথা এই বার্তা যেন নতুন বছরে নতুন আলোর দিশা দেখায়।
সকাল গড়াতেই রমনা পার্কজুড়ে মানুষের ঢল নামে। নারী, পুরুষ, শিশু সবাই নতুন পোশাকে বর্ণিল এই উৎসবে যোগ দেন। শাহবাগ ও মৎস্য ভবনের দুটি প্রবেশপথ দিয়ে আর্চওয়ে পার হয়ে পুলিশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই পার্কে প্রবেশ করছেন দর্শনার্থীরা। নিরাপত্তার পাশাপাশি সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনাও নজর কাড়ে।
রমনা পার্কের বিভিন্ন পথ ধরে বৈশাখের সাজে সজ্জিত মানুষ হাঁটছেন, কেউ বা থেমে ছবি তুলছেন, কেউবা মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করছেন নিজের মুখচ্ছবি। কড়া রোদের তাপে অনেকেই ছাতা নিয়ে এসেছেন, কিন্তু উৎসবের উচ্ছ্বাসে ক্লান্তির লেশ নেই কারো মুখে।
শাহবাগ ও মৎস্য ভবনের মাঝামাঝি নতুন একটি প্রবেশপথ স্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে অনেকেই পার্কে প্রবেশের পর আবার বেরিয়ে যাচ্ছেন। তবে প্রবেশকারীর সংখ্যা বের হওয়া মানুষের চেয়ে অনেক বেশি।
আয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল নজরকাড়া। পুরো রমনা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ডিএমপি ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম, সিসিটিভি ক্যামেরা ও আলাদা প্রবেশ ও বাহির পথ তৈরি করে নিশ্চিত করা হয়েছে উৎসবের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ।
নতুন বছরে এমন একটি আয়োজনে হাজারো মানুষ একত্রিত হয়ে যেন জানান দিল আলো, ঐক্য আর ভালোবাসাই হোক আগামী দিনের পথচলা।