বিক্ষোভের নামে লুটপাট নিতান্তই ছোটলোকি কাজ – আজহারির সতর্ক বার্তা

- আপডেট সময় ০১:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
- / 26
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে কিছু স্থানে সহিংসতা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বিক্ষোভের নামে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
এবার বিষয়টি নিয়ে মত দিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত ইসলামিক বক্তা ও স্কলার মিজানুর রহমান আজহারি। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিক্ষোভের নামে ভাঙচুর ও লুটপাটের কড়া সমালোচনা করেন।
তিনি লেখেন, “বিক্ষোভের নামে লুটপাট নিতান্তই ছোটলোকি কাজ। যারা এ ধরনের গর্হিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে, তারা সুযোগ না পেলে সৎ থাকে। তারা যেকোনো ভালো উদ্যোগকে ভুল পথে নিয়ে যায় এবং তা ব্যর্থ করে তোলে। স্মার্ট ও কার্যকর আন্দোলনকে মুহূর্তেই পণ্ড করে দেয়।”
আজহারি আরও লেখেন, “মূল ইস্যু থেকে সরে গিয়ে যখন আমরা অপ্রাসঙ্গিক ও নির্বোধের মতো কাজ করি, তখন আমাদের দাবি গুরুত্ব হারায়। একজন প্রকৃত মুমিন কখনো এমন আচরণ করতে পারেন না। প্রতিবাদ করতে হলে তা হতে হবে যৌক্তিক, শালীন এবং বুদ্ধিদীপ্ত। তা না হলে শুধু দেশের ক্ষতিই বাড়বে।”
বিশ্লেষকদের মতে, জনগণের ন্যায্য ক্ষোভ ও প্রতিবাদের পথ যখন সহিংসতায় রূপ নেয়, তখন তা আন্দোলনের মাহাত্ম্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। যে ক্ষোভ গণজাগরণ সৃষ্টি করতে পারত, তা তখন আতঙ্কে পরিণত হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও নিরীহ মানুষের ক্ষতিসাধন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গাজা ইস্যুতে প্রতিবাদ যেমন বৈধ, তেমনি সেই প্রতিবাদ হতে হবে নিয়ন্ত্রিত ও দায়িত্বশীল। নইলে আন্দোলনের পবিত্রতাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
সামাজিক সচেতন মহলও বলছেন, কেউ কেউ ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তি বা গোষ্ঠিগত স্বার্থ হাসিল করতে চাইছে। এদের কারণে পুরো আন্দোলনের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আজহারির আহ্বান, “আসুন, প্রতিবাদের নামে আমরা আর দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত না করি। বরং গঠনমূলক এবং বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ পন্থায় আমাদের মত প্রকাশ করি যাতে সত্যের পক্ষে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট হয় এবং অন্যায় নিপাত যায়।”