ঢাকা ০৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা, সম্পদ বিবরণী চেয়ে আইনি নোটিশ বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় দুই ট্রলারসহ ৩৪ জেলে আটক শুধু বাহক নয়, মাদকের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরমাণু সংস্থার পরিদর্শকদের জুতার ভেতরে গুপ্তচর চিপ! দাবি ইরানের। ইউক্রেনে সেনা খসড়ায় স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি: ১৭-২৫ বছরের তরুণদের জন্য পালানোর আর পথ নেই। রাশিয়ার “মেগা-অফেনসিভ” পরিকল্পনা, সঙ্গে থাকছে ৩০,০০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী বরখাস্ত আমাদের উজানের দেশ, তথ্য না দিলে বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন: পরিবেশ উপদেষ্টা সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা

শুধু বাহক নয়, মাদকের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২৫:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / 0

ছবি সংগৃহীত

 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে ভয়াবহ বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। তাই মাদক নির্মূলে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

সোমবার (১৪ জুলাই) কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত “রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ” বিষয়ক এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিয়াম ফাউন্ডেশন আঞ্চলিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক), প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ।

এছাড়াও সভায় অংশ নেন সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন, জেলা প্রশাসন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধীনস্থ দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য মাদক একটি বড় হুমকি। তিনি আরও বলেন, “জনগণ সচেতন হলে মব ভায়োলেন্স (গণপিটুনি) হবে না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। কেউ এমন আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” একই সঙ্গে তিনি চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

সভায় বক্তারা মাদক নির্মূল ও ক্যাম্প ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সমন্বিত ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশজনিত চ্যালেঞ্জ এবং মাদক পাচারের মতো সংগঠিত অপরাধ মোকাবিলায় বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সমন্বয় এবং তথ্য আদান-প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভা শেষে উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

শুধু বাহক নয়, মাদকের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৮:২৫:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে ভয়াবহ বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। তাই মাদক নির্মূলে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

সোমবার (১৪ জুলাই) কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত “রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ” বিষয়ক এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিয়াম ফাউন্ডেশন আঞ্চলিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক), প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ।

এছাড়াও সভায় অংশ নেন সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন, জেলা প্রশাসন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধীনস্থ দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য মাদক একটি বড় হুমকি। তিনি আরও বলেন, “জনগণ সচেতন হলে মব ভায়োলেন্স (গণপিটুনি) হবে না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। কেউ এমন আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” একই সঙ্গে তিনি চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

সভায় বক্তারা মাদক নির্মূল ও ক্যাম্প ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সমন্বিত ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশজনিত চ্যালেঞ্জ এবং মাদক পাচারের মতো সংগঠিত অপরাধ মোকাবিলায় বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সমন্বয় এবং তথ্য আদান-প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভা শেষে উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।