ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা, সম্পদ বিবরণী চেয়ে আইনি নোটিশ বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় দুই ট্রলারসহ ৩৪ জেলে আটক শুধু বাহক নয়, মাদকের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরমাণু সংস্থার পরিদর্শকদের জুতার ভেতরে গুপ্তচর চিপ! দাবি ইরানের। ইউক্রেনে সেনা খসড়ায় স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি: ১৭-২৫ বছরের তরুণদের জন্য পালানোর আর পথ নেই। রাশিয়ার “মেগা-অফেনসিভ” পরিকল্পনা, সঙ্গে থাকছে ৩০,০০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী বরখাস্ত আমাদের উজানের দেশ, তথ্য না দিলে বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন: পরিবেশ উপদেষ্টা সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা

শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলা: সাবেক ভিসি হাসিবুরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / 14

ছবি: সংগৃহীত

 

জুলাই আন্দোলনের প্রতীক শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হাসিবুর রহমানসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার সকালে মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয় ট্রাইব্যুনালে। এই অভিযোগে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টরসহ মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শহিদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তৎকালীন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারসহ ৩০ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গত ২৪ জুন তদন্ত সংস্থা এই মামলার বিস্তারিত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দেয়। একইসঙ্গে শহিদ আবু সাঈদকে হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রও প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মামলার চার আসামি ইতিমধ্যেই কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন—বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের পার্ক মোড়ে সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন ছাত্রনেতা আবু সাঈদ। হত্যাকাণ্ডের পরপরই সারাদেশে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যা জুলাই আন্দোলন নামে পরিচিতি পায়।

এ নিয়ে নিহতের পরিবারসহ আন্দোলনকারীরা দীর্ঘদিন ধরে বিচার দাবি করে আসছিলেন। ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রসিকিউশনের আইনজীবীরা জানান, দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শিগগিরই শুনানি শুরু হবে এবং মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার প্রত্যাশা জানিয়েছেন নিহত শহিদের পরিবার ও সহযোদ্ধারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলা: সাবেক ভিসি হাসিবুরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেট সময় ০২:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

 

জুলাই আন্দোলনের প্রতীক শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হাসিবুর রহমানসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার সকালে মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয় ট্রাইব্যুনালে। এই অভিযোগে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টরসহ মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শহিদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তৎকালীন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারসহ ৩০ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গত ২৪ জুন তদন্ত সংস্থা এই মামলার বিস্তারিত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দেয়। একইসঙ্গে শহিদ আবু সাঈদকে হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রও প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মামলার চার আসামি ইতিমধ্যেই কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন—বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের পার্ক মোড়ে সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন ছাত্রনেতা আবু সাঈদ। হত্যাকাণ্ডের পরপরই সারাদেশে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যা জুলাই আন্দোলন নামে পরিচিতি পায়।

এ নিয়ে নিহতের পরিবারসহ আন্দোলনকারীরা দীর্ঘদিন ধরে বিচার দাবি করে আসছিলেন। ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রসিকিউশনের আইনজীবীরা জানান, দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শিগগিরই শুনানি শুরু হবে এবং মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার প্রত্যাশা জানিয়েছেন নিহত শহিদের পরিবার ও সহযোদ্ধারা।