ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা, সম্পদ বিবরণী চেয়ে আইনি নোটিশ বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় দুই ট্রলারসহ ৩৪ জেলে আটক শুধু বাহক নয়, মাদকের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরমাণু সংস্থার পরিদর্শকদের জুতার ভেতরে গুপ্তচর চিপ! দাবি ইরানের। ইউক্রেনে সেনা খসড়ায় স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি: ১৭-২৫ বছরের তরুণদের জন্য পালানোর আর পথ নেই। রাশিয়ার “মেগা-অফেনসিভ” পরিকল্পনা, সঙ্গে থাকছে ৩০,০০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী বরখাস্ত আমাদের উজানের দেশ, তথ্য না দিলে বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন: পরিবেশ উপদেষ্টা সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা

তারেক-জুবাইদা রহমান দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে খালাস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • / 24

ছবি: সংগৃহীত

 

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জুবাইদা রহমানের করা আপিল মঞ্জুর করে বুধবার (২৮ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ের ফলে মামলায় তারেক ও জুবাইদা দম্পতির আর কোনো দণ্ড বা অভিযোগ অবশিষ্ট থাকলো না বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজধানীর কাফরুল থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক জহিরুল হুদা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, তারেক রহমান ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে।

২০১৮ সালে মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান রায় দেন। ওই রায়ে দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং ২৬(১) ধারায় জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসক জুবাইদা রহমান স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে দেশ ছাড়েন। প্রায় ১৭ বছর পর গত ৬ মে তিনি দেশে ফিরে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। দেশে ফেরার পর তিনি মামলা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।

১৩ মে হাইকোর্টে বিলম্ব মার্জনার আবেদন করেন তিনি। আদালত ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মাফ করে আপিল করার অনুমতি দেন। পরদিন আপিল ও জামিন আবেদন করেন জুবাইদা। হাইকোর্ট তা গ্রহণ করে আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত জামিন দেন।

শুনানি শেষে ২৬ মে আদালত রায়ের জন্য দিন রাখলেও বুধবার (২৮ মে) পুনরায় শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে হাইকোর্ট খালাস দেন।

আদালতে তারেক-জুবাইদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও মো. জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল করিম এবং দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

এর আগে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এক বছরের জন্য জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করেছিল। সেই সময় শর্ত ছিল, তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

তারেক-জুবাইদা রহমান দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে খালাস

আপডেট সময় ০৫:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

 

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জুবাইদা রহমানের করা আপিল মঞ্জুর করে বুধবার (২৮ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ের ফলে মামলায় তারেক ও জুবাইদা দম্পতির আর কোনো দণ্ড বা অভিযোগ অবশিষ্ট থাকলো না বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজধানীর কাফরুল থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক জহিরুল হুদা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, তারেক রহমান ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে।

২০১৮ সালে মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান রায় দেন। ওই রায়ে দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং ২৬(১) ধারায় জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসক জুবাইদা রহমান স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে দেশ ছাড়েন। প্রায় ১৭ বছর পর গত ৬ মে তিনি দেশে ফিরে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। দেশে ফেরার পর তিনি মামলা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।

১৩ মে হাইকোর্টে বিলম্ব মার্জনার আবেদন করেন তিনি। আদালত ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মাফ করে আপিল করার অনুমতি দেন। পরদিন আপিল ও জামিন আবেদন করেন জুবাইদা। হাইকোর্ট তা গ্রহণ করে আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত জামিন দেন।

শুনানি শেষে ২৬ মে আদালত রায়ের জন্য দিন রাখলেও বুধবার (২৮ মে) পুনরায় শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে হাইকোর্ট খালাস দেন।

আদালতে তারেক-জুবাইদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও মো. জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল করিম এবং দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

এর আগে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এক বছরের জন্য জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করেছিল। সেই সময় শর্ত ছিল, তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল করতে হবে।